শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

শরনার্থী শিবিরে গণহত্যায় নিহত তিন শতাধীক ফিলিস্তিনি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এবার মধ্য গাজায় গণহত্যা পরিচালনা করেছে। তাদের হামলা ছিল কমান্ডো হামলা। মধ্য গাজার নুসেরাইত শরনার্থী শিবিরে এই হামলা চালিয়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা অন্তত তিন শতাধীক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। হত্যাকান্ডের নির্মম শিকার আইলা ও শিশুদের অংশ অন্তত দুই শতাধীক দখলদার বাহিনী মধ্যগাজার নুসেরাইত শরনার্থী শিবিরে হামলার পাশাপাশি আল বালাহ এলাকাতেও ব্যাপক ধ্বংস যজ্ঞ ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। এসময় কমান্ডো স্টাইলের এই হামলায় নির্বিচারে সত্যিকার অর্থে থাকে গণহত্যা বলা সেই পরিমান গণহত্যা চালিয়েছে তারা। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী সাধারনত রাতের বেলাতে অভিযান বা হামলা পরিচালনা করে এ সময় নির্বিচারে গুলি বর্ষন করতে করতে এগিয়ে যেতে থাকে। হামাস সদস্যলা সম্পূর্ণ ভাবে অপ্রস্তুত থাকায় দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি আর এখানেই দখলদার বাহিনীর সাফল্য সকলের আলো তখন কেবল মাত্র ফুটতে শুরু করেছে। ফিলিীস্তনিরা বাজা রঘাটে আসতে শুুরু করেছে এমন সময় আকস্মিক হামলা তথা অভিযান শুরু করলে দখলদার বাহিনীর হঠাৎ উপস্থিতি ও হামলায় তকন কেউ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই শত শত নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সময় যতই অতিক্রম ঘটতে থাকে হামলার ধরন ও প্রকৃতি ততোই বাড়তেথাকে। একসময় দখলদার বাহনিী জিম্মিদের কাছাকাছি পৌছৈ যায় এবং তিনশতাধীক ফিলিস্তিনিকে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা চার জিম্মিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে সূর্যের আলোয় প্রকাশ্যে মধ্যযুগীয় বর্বরতা তিন শতাধীক ফিলিস্তিনিকে তারা হত্যা করে এদিকে ফিলিস্তিনিদের মাঝে বর্তমান সময়ে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে কোন অবস্থাতেই দখলদার বাহিনীর দিলেন আলোয় এমন বর্বরতা নৃষংস আর অমানবিক সর্য্য করতে পারছে না। এখানেই শেষ নয় হামাসের পক্ষ হতে ফিলিস্তিনিদেরকে এই বলে আশ্বস্থ করা হয়েছে যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় চার ইসরাইলিকে মুক্ত করলেও গাজায় দখলদার বাহিনীর ব্যর্থতা থাকবে। হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেছেন দখলদার বাহিনী গাজায় আটক করে ইসরাইলিকে মুক্ত করতে পেরেছে কেবল মাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনায় ও তাদের দেখিয়ে দেওয়া পাথেই কেবল মাত্র দখলদার ইরসাইলি বাহিনীর সদস্যরা চার জিম্মিকে মুক্তকরতে পেরেছে। আবু ওবাইদা আরও বলেছে এখানেই শেষনয় হামাসের হাতে আরও বহু সংখ্যক ইসরাইলি নাগরিকবন্দী আছে এবং উক্ত বন্দীর সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচেছ। এদিকে কাতারের সাথে হামাস যোদ্ধাদের সম্পর্ক দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে আগামী দিন গুলোতে হয়তবা কাতারের হামাস নেতৃবৃন্দের থাকা হবে না অথবা কাতার তাদেরকে বহিস্কার করবে। দখলদার বাহিনীর নির্দেশিত হামাস ইসরাইল যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি হামাসকে মেনে নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুটনৈতিক প্রচেষ্টায় কাতার হামাসকে চুক্তি মানতে নির্দেশ দিচ্ছে এবং না মানলে কাতার হতে বহিস্কারের ও হুমকি দিচ্ছে। এদিকে গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এর সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের সামনে বিপুল সংখ্যক মার্কিনী বিক্ষোভ করেছে। ইসরাইলি হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সাগরে হুতি যোদ্ধাদের হামলা চলছে তো চলছেই। রাফা শহরেরর পশ্চিম প্রান্তের একাধিক এলাকাতে ইসরাইলি সেনারা ট্রাঙ্ক তাক করে রেখেছে যে কোন সময়ে রাফার কেন্দ্র স্থলে তারা হামলা চালাতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com