বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
চলছে রস আনতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, সাতক্ষীরার ঐতিহ্যের ধারক খেঁজুর রস, গুড়, পাটালী কয়েকদিন পরেই মহাসমারোহে দেখা মেলবে রসের দেবহাটায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন আশাশুনি জলবায়ু সহনশীল পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালার বাস্তবায়নে কর্মশালা আশাশুনি বার্ষিক পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা কুমিরায় রাস্তার উপর থেকে সরকারী গাছ কাটার সময় আটক ১ বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ও নার্স অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় মানবাধিকার সম্মাননা পেলেন আলহাজ্ব শাহজাহান জমাদ্দার ডুমুরিয়ায় সোনালী ব্যাংকে খেলাপি ঋণ আদায় ও ঋণ বিতরণ বিষয়ক মতবিনিময় কালিগঞ্জে অসহায় দরিদ্র ব্যাক্তিদের মাঝে কম্বল বিতরণ কালিগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা

শ্যামনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জনবসতি এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিত আশা ব্রিক্স ও মোস্তফা ব্রিক্স বন্ধ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলায় জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিত আশা ব্রিক্স ও মোস্তফা ব্রিক্স নামের দুটি ইটভাটা মালিককে ভাটাবন্দের নির্দেশনা দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ভাটা দুটি পরিদর্শন শেষে তিনি এই নির্দেশনা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে । উপজেলার রামজীবনপুর এলাকার ঘন জনবসতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায় সরকারি নিয়ম—নীতি উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে আলহাজ্ব আরব আলী ও এসএম মোস্তফা নামে দুই ব্যক্তি ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিল। এ ঘটনায় এলাকাবাসী পরিবেশ অধিদপ্তর শেরেবাংলা নগর ঢাকায় লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অফিসের সৈয়দ নজমুল আহসান খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এলাকাবাসী গত ২২—০৯—২০২৪ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পরিবেশ অধিদপ্তরের আদেশের কপি সংযুক্ত করে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন আশা ব্রিকস ও মোস্তফা ব্রিকস দুইটি বন্ধ ঘোষণা করেন। ওই এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ রেজাউল করিম দোলনা বলেন, আমরা এলাকার সাধারণ মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে ভাটা দুটি বন্ধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত অভিযোগ, স্মারক লিপি প্রদান, সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে আসছি। ওই এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক আবু ঈসা বলেন, ঘনবসতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে ইটভাটা দুটি নির্মিত হাওয়ায় তার কালো ধোঁয়ায় প্রতিনিয়ত এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষতির শিকার হচ্ছে। স্কুলের ছোট ছোট কোমলমতি বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুন বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক উপরোক্ত ভাটা দুটির সঠিক কাগজপত্র না থাকায় কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে ভাটা মালিক এসএম মোস্তফার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভাটা পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। দ্রুত আমরা হাতে পেয়ে যাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com