এফএনএস: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ শনিবার। সরস্বতী পূজা বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পূজা বর্তমান রূপটি আধুনিককালে প্রচলিত হয়েছে। তবে প্রাচীনকালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন বলে জানা যায়। পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা হিন্দু স¤প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভ‚খন্ডে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতীর পূজা হয়ে থাকলেও করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এ বছর পূজামন্ডপে সীমিত আকারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে শনিবার সকাল ৭টা ৭ মিনিটে শুরু হবে পঞ্চমী তিথি। পরদিন রোববার সকাল ৭টা ৯ মিনিটে পূজার তিথি সমাপ্ত হবে। এদিন সকালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের বাসা ও পূজামন্ডপে সরস্বতী পূজা হবে। পূজা শেষে ভক্তরা অঞ্জলি গ্রহণ করবেন। এদিন শিশুদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বিদ্যার দেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছে। সকাল ৯টায় পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনাজনিত কারণে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি ও বিধি-নিষেধ মেনে পূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কিশোর রঞ্জন মন্ডল। এ ছাড়া এবার জাতীয় প্রেস ক্লাবেও পূজা অনুষ্ঠিত হবে।