মাছুদুর জামান সুমন \ অর্থনীতির সুবাতাসের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে গরু, ছাগল। গ্রামীন জনপদে একদা সখের বশে গরু, ছাগল পালন করা সা¤প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনীতির উন্নয়নে এবং অর্থ উপার্জনের কাঙ্খিত মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে গরু ছাগল পালন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে ফার্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় এবং অর্থনীতির বুনিয়াদ সৃষ্টিতে গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে গরু ছাগল পালন ক্ষেত্র। দেশী গরুর পাশাপাশি বিদেশী গরু (জার্সি) গরুর পালন অর্থনীতিতে সুবাতাস বইছে। সাতক্ষীরায় গড়ে ওটা অগনিত ডেইরী ফার্মগুলোর মধ্যে গরু মোটা তাজা করন এবং দুধ উৎপাদনের মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। জেলার তালা উপজেলা, দেবহাটা ও সদর উপজেলায় ঘরে ঘরে ডেইরি ফার্ম। গ্রামীন জনপদের অপেক্ষাকৃত অস্বচ্ছল পরিবার বছরে একটি বা দুইটি গরু পালন করে বিশেষ লাভবান হচ্ছে। লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য থাকে কুরবানী ঈদ, খোজ নিয়ে জানাগেছে ত্রিশ/চলিশ হাজার টাকার মধ্যে একটি এড়ে বাছুর ক্রয় করে অন্তত ছয়/সাত মাস পালন করে অনায়াসে ৮০/৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন লালন পালন কারীরা। বর্তমান সময় গুলোতে গরুর মাংসের মূল্য বৃদ্ধির কারন হেতু এক শ্রেনীর মানুষ গরু পালনে আগ্রহী হচ্ছে। গরু লালন, পালনকারীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে বর্তমান গো খাদ্যের মূল্য অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু লালন পালনে আর্থিক সংকট দেখা দেচ্ছে। পালনকারীদের কেউ কেউ অবশ্য বলেন গরুর গবরের অর্থমূল্য থাকায় গো খাদ্যের মূল্য কিছুটা সহনীয় হচ্ছে। সা¤প্রতিক বছর গুলোতে দেশী গরুর উৎপাদন ও লালন পালন বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশী গরুর আগমন হ্রাস পেয়েছে। সাতক্ষীরার প্রেক্ষিতে গরু উৎপাদনে এতটুকু বিপ্লব সাধিত হয়েছে যে দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকারী গরু ব্যবসায়ীরা সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাটে এবং গ্রামে গ্রামে গরু সংগ্রহ করতে আসছে। গরুর পাশাপাশি ছাগল উৎপাদনও ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বানিজ্যিক ভাবে ছাগল উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে। বাজারে বর্তমান খাসি ছাগলের মাংস কেজি প্রতি ৯০০টাকা, যে কারনে খাসি ছাগলের কদর বৃদ্ধি পেয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই সাতক্ষীরায় গরু ছাগলের উৎপাদন ও লালন পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অর্থনীতিতে সুবাতাস বইছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।