স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাতক্ষীরায় বিভিন্ন চাষ পদ্ধতিতে ভাঙান মাছ চাষের বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে চাষি সহায়িকা ভাঙান মাছ চাষ পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ও মৎস্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় গতকাল বেলা ১১ টায় শহরের পিৎজা মিলানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিশ ফিশারিজ প্রজেক্টের উপপরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রি, কালিগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা। ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.গৌতম কুমার কুন্ডু। বক্তব্য রাখেন,গবেষণা সহযোগী অপর্ণা বর্মণ,গবেষণা সহকারী ছিলেন আসিফ হাসান,ইসমাম ইবনে হায়দার ও জাফরুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় এবং অধিকতর মৎস্য উৎপাদনের জন্য অধিক উৎপাদনশীল মৎস্য চাষ পদ্ধতি অপরিহার্য। উপকূলীয় এলাকায় লবণ পানিতে চিড়িং পাশাপাশি পারশে,ভেটকি, টেংরা, তেলিপিয়া চাষ হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুমে লবণ কমে গেলে গলদা চিংড়ি, রুই,গ্লাস কাপ, মিরর কাপ, কাতলা চাষ হয়। বড় মাছের জন্য অন্যান্য মাছের সাথে ভেটকি মাছের চাষ করা হয়। ভেটকি রাক্ষসী প্রকৃতির মাছ হয় অন্যান্য মাছ খেয়ে ফেলে। ফলে চাষীদের খরচ অনেক বেড়ে যায়। ভাঙান মাছ চাষের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়। এটা অত্যন্ত সুস্বাদু ও দামি মাছ হিসেবে পরিচিত। ভাঙান সকল পানিতে চাষ করা যায়। লবণ পানি অভিশাপ নয় আশিবাদ। লবণ পানিকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে। ভাঙান সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষ করা যাবে। সরকারিভাবে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আপনি নিজে মাছ চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এ সময় বিভিন্ন এলাকার মাছ চাষিরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গবেষণা সহকারী উসরিকা ইসলাম।