বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মা মনসা পূজা উদযাপিত

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আগামী কাল গুড়পুকুর মেলা উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্পদেবী মা মনসা পূজা উদযাপিত হয়েছে। তবে পূজার সাথে ওৎপ্রোত ভাবে গুড়পুকুরের মেলা জড়িত থাকলে সেটি উদ্বোধন হয়নি। উভয় ঐতিহ্যবাহী যাহা প্রায় সাড়ে ৩শত বছর ধরে ইতিহাস ঐতিহ্য ও বাংলা সাংস্কৃতি ধরে রেখেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভাষ্যমতে সাতক্ষীরা গুড়পুকুর পাড়ে বটগাছ সংলগ্ন এলাকায় জমিদারের বসবাস ছিলেন। তারা এখান থেকে তৎকালীন সময় বহু এলাকা শাসন করতেন। তৎকালীন সময়ে সর্প দংশনে মানুষের মৃত্যু বেশি হতো। তাই মা সর্প দংশন থেকে মানুষের মুক্তি কামনায় মা মনসার পূজা দিতেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক ব্যক্তি বলেন বহুকাল পূর্ব থেকে এখানে বটতলায় মাঝে মাঝে সাপের বিচরন দেখা যেত। কোন এক ভাদ্র মাসের শেষে এক ব্যক্তি বটতলায় কলা ও দুধ নিয়ে আসলে তৎক্ষনাত সর্প এসে দুধ কলা খেয়ে চলে যায়। তখন বিষয়টি উপস্থিত অনেকে নজরে আসে। সকলে মনে করলেন মা মনসা কে খুশি করতে পারলে কাউকে আর দংশন করবে না। সেই থেকে প্রতিবছর এই বটতলায় ভাদ্র মাসের শেষে ও আশ্বিনের প্রথমে মা মনসার পূজা অর্চনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মা মনসা পূজা উপলক্ষে বেশ কয়েক দিন পূর্বে থেকে গুড়পুকুর বটতলা সহ আশপাশের এলাকায় আলোক সজ্জিত করা হয়। গতকাল মা মনসা পূজাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে দিনভর শহরের পলাশপোল রাস্তার ২ ধারে দুধ, কলা, বেলের পাতা, বাতাসা, ফুলের পরসা সাজিয়ে বসে ব্যবসায়ীরা। এগুলি মূলত পূজার জন্য প্রসাদ হিসাবে বিক্রয় হয়েছিল। তবে বিভিন্ন রকমারীর খাবারও বিক্রয় ছিল চোখে পড়ার মত। সকাল থেকে মা মনসা পূজার উদ্দেশ্যে সনাতন সম্প্রদায়ে হাজার হাজার নারী পুরুষ এখানে সমবেত হয়। চোখে পড়ার মত ছিল শিশু ও বৃদ্ধদের উপস্থিতি। মা মনসা কে খুশি করতে দুধ কলা সহ অন্যান্য খাবারের প্রসাদ তুলে দিচ্ছেন পুরোহিতের হাতে। পুরোহিত ও তাদের কাছে প্রসাদ তুলে দেন। সুশৃংখল ভাবে সারি বদ্ধ হয়ে বটতলায় প্রবেশ করেন ভক্তরা। বটতলায় একপাশ বেহুলা ভাষন ছিল আকর্ষনীয়। ভক্তরা বেহুলায় প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তবেমা মনসার থেকে গুড়পুকুরের মেলায় উদ্বোধন কথা সেটি আগামী কাল উদ্বোধন হবে। তবে সনাতন সম্প্রদায়ের একাধিক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মা মনসার পূজা ব্যাপক বিস্তৃতি থাকলেও গুড়পুকুর মেলা পরিধি কমে গেছে। আগে মেলা বসতেন পুরো শহর জুড়ে এখন শুধু সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে। সাতক্ষীরা ঐতিহ্য গুড় পুকুরের মেলায় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পূজা কমিটির উপদেষ্টা পরিতোষ চক্রবর্তী, গোষ্ট বিহারী মন্ডল, সদস্য তপন হাওলাদার, ডা: সুব্রত ঘোষ, সমীর কুমার বসু, মিলন কর্মকার সহ সনাতন সম্প্রদায়ের পূজার আয়োজন কমিটির নেতৃবৃন্দ। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। মা মনসা পূজায় পুরোহিত করেন তাপস চক্রবর্তী, সহকারী গৌতম বসু, উজ্জ্বল চক্রবর্তী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com