স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে শহরের অদূরে লেকভিউতে ইফতার মাহফিলে দাওয়াতি মেহমানদের অভ্যর্থনা জানান ও কুশল বিনিময় করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম। ইফতার মাহফিলে সংসদ সদস্য, বিজ্ঞ বিচারক, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, চিকিৎসক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিনত হয়। ইফতারের পূর্বে স্বাগত বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ বিলুপ্ত করে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐ সব জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেবে সরকার। তিনি আরোও বলেন, মহামারী করোনা কালীন সময়ে সকল অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় পূর্বের ন্যায় অনুষ্ঠান পালন করা সম্ভব হচ্ছে। ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কবি শেখ মফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোডঃ হুমায়ুন কবির, ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হক, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুজিবর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানুলাহ আল হাদী, সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা, জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলাম, কালের চিত্র সম্পাদক আবু আহমেদ, প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যান ব্যানার্জী প্রমুখ। এছাড়া সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তা, চিকিৎসক সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক তত্ত¡াবধায়নে ছিলেন জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান।