স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হিমাগারে লাশ সুরক্ষার জন্য রাখা হলেও নষ্ট হওয়ার অভিযোগ করেছে স্বজনেরা। খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে। গত শনিবার মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় শহরের অদূরে মাজেদ মোড়লের পুত্র মাহবুবুর রহমান বাবু সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত বাবুর স্বজন ওলিউলাহ ও নূর ইসলাম দৃষ্টিপাত কে জানান, ঐ দিন সন্ধ্যায় মর্গে রাখার প্রস্তুতি গ্রহন করে। এ সময় হিমাগারের দায়িত্ব থাকা স্বেচ্ছাসেবক সুফল লাশ হিমাগারে রাখা সরকারি খরচ বাবদ তিন হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় সদর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবির ও এসআই আব্বাস আলীর মাধ্যমে বিষয়টি মধ্যস্থতার দাবি করেন। এক পর্যায়ে ১০০০/- এক হাজার টাকা চুক্তিতে লাশ হিমাগারে রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সকলের উপস্থিতিতে আমরা লাশ হিমঘরে রাখি। গতকাল সকাল ১০টায় লাশ হিমঘর থেকে বের করা হলে লাশ দুর্গন্ধ ছড়ায়। স্বজনেরা আরোও বলেন, টাকা না পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক সুফল নষ্ট হিমাগারে আমাদের লাশ রেখেছে। এ বিষয়ে হিমাগারের দায়িত্ব থাকা সুফল জানান, সরকারী খরচ বাবদ ১ হাজার টাকা বলা হলেও কোন টাকা ছাড়া লাশ রাখা হয়েছিল। তাদের অভিযোগ সঠিক নয়। সদর থানার এসআই আব্বাস জানান, সকলের উপস্থিতিতে লাশ হিমাগারে রাখা হয়েছে। লাশ হিমাগারে থেকে বের করা হলে সামান্য দুর্গন্ধ ছড়ায়। যান্ত্রিক ত্র“টির কারনে এটা হতে পারে বলে তিনি ধারনা করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাঃ কুদরতি খুদা দৃষ্টিপাতকে জানান, নিহতের লাশ হিমাগারে রাখা ছিল। সরকারী নির্ধারিত ফি এক হাজার টাকা থাকলেও ফ্রি হিসাবে অনেক লাশ হিমাগারে রাখা হয়। এ বিষয়ে তদন্তকরে দেখবো সঠিক কিনা। টাকা না পেয়ে নষ্ট হিমাগারে লাশ রাখার অভিযোগ প্রমানিত হলে তাকে অব্যহতি দেওয়া হবে।