বাংলাদেশের মর্যাদা, সম্মান আর ঐতিহ্যের প্রতিক হিসেবে বিশেষ ভাবে সুখ্যাতি অর্জন করেছে সুন্দরবন। আমাদের উপকুলীয় জনপদকে সুরক্ষিত রেখে চলেছে, প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা হতে বার বার দেশেকে রক্ষা করে চলা আমাদের এই অনন্য অসাধারন সুন্দরবন অনবদ্য ও কাঙ্খিত ভুমিকা রেখে চলেছে। সুন্দরবন কেবল মাত্র সৌন্দর্য্যরে অধিকারী তা নয় এই বন সম্পদে পূর্ণতা পেয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশে সুন্দরবনের অবস্থান এবং পরিচিতির শেষ নেই। সুন্দরবন রক্ষায় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ যতটুকু না কার্যকর সে অপেক্ষা অধিকতর কার্যকর রয়েলবেঙ্গল টাইগারের অবস্থান। দৃশ্যতঃ স্থানীয় ভাষায় বাঘ খ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার সুন্দরবনের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে নিজেকে বিস্তৃত করেছে। এক কথায় সুন্দরবনে বাঘ না থাকলে বন অনেক আগেই নিধন হতো। বাঘের ভয়ে বন উজাড়কারী চক্র সহ বন খেকোরা ইচ্ছামত সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থান করে বৃক্ষ নিধন সহ জীব বৈচিত্রের ব্যাপক ভিত্তিক ক্ষতি সাধন করতো। কিন্তু বাঘই সুন্দরবনের শেষ কথা। উদ্বেগ আর আশঙ্কার উদ্দেশ্য বিষয় একক শ্রেনির শিকারী এবার বাঘ নিধনে নেমেছে। তাদের লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য এমনই যে বাঘ নিধন করলে অবশ্যই সুন্দরবন ধ্বংস করার ক্ষেত্র সুগম হবে অন্যদিকে বাঘের চামড়া, হাড় সহ অপরাপর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আর্থিক মূল্যে বিক্রি করা যাবে। স¤প্রতি সুন্দরবনে একটি মৃত বাঘ আবিস্কার করেছে যা জাতীয় আঞ্চলিক ও স্থানীয় পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত বাঘ হত্যা করা হয়েছে নাকি চোরা শিকারীদের তৎপরতায় তার মৃত্যু ঘটেছে। তদন্ত জরুরী। সুন্দরবনেক রক্ষা করতে হবে, আর এ জন্য সুন্দরবন রক্ষাকারী হিসেবে বাঘকে সকলের আগে রক্ষা করতে হবে।