শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৭ অপরাহ্ন

হামাসের সম্মতি সুচক প্রস্তাব পেশ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইল এর হামলা চলছে অন্যদিকে প্যারিস যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করতে দখলদার দেশটি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে হামাস এবং ইসরাইল যুদ্ধ বিরতির কাছাকাছি পৌছাতে সক্ষম হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হামাসের যুদ্ধ বিরতির সম্মতি সূচক পত্র কাতারের মাধ্যমে ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠানো হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে সহসা এই যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি কার্যকর হতে পারে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে হামাস ১৬৫ দিনের যুদ্ধ বিরতি তারপর স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি চায়, যুদ্ধ বিরতি হবে তিন ধাপে, প্রতিটি ৪৫ দিন করে, হামাসের প্রস্তাবেব গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূ-খন্ডে অভিযানের সময় আটক করা ইসরাইলিদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গাজায় পূনগঠন শুরু ইসরাইলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে যারা মৃত্যু বরন করেছে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হবে। হামাসের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রথম ৪৫ দিনে হামাসের হাতে আটক সকল নারী বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। একই সাথে ১৯ বছরের কম বয়সি ও অসুস্থদের মুক্তির বিষয়টি বলা হয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এমনটি জানানো হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তিদেবে হামাস। আর তৃতীয় ধাপে মৃত ব্যক্তদের লাশ ফেরত দেয়া হেব। তৃতীয় ধাপে মৃত ব্যক্তিদের লাশ ফেরত দেওয়া হবে। আর তৃতীয় ধাপের পর হামাস স্থায়ী ভাবে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব চাচ্ছে। প্রস্তাবে হামাস ইসরাইলের কারাগারে আটক থাকা ১৫০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তির দাবী করেছে। যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে নিশ্চিত করার বিষয় বলা হয়েছে। হামাস দিনে গাজায ৫০০ করে ত্রান সরবরাহ করার দাবী জানিয়েছে। পক্ষান্তরে ইসরাইল হামাসের হাতে আটক থাকা বন্দীদের মধ্যে একশত বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে দুই মাসের যুদ্ধ বিরতি কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। হামাসের শর্ত মেনে যদি ইসরাইল যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করে তাহলে হামাস এই যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবের সাথে সহমত বা কার্যকর করবে নতুবা নয় এমনটি স্পর্শ ভাব্ইে জানিয়ে দিয়েছে হামাস প্রধান ইসরাইল হানিয়া। এদিকে দ্রুত যুদ্ধ বিরতি কার্যকওেরর পক্ষে অবস্থান নিয়েচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক বিশ্ব তথা মুসলিম বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দারুন ভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে গাজায় হামলা ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার মধ্য দিয়ে যে কারনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিক ভাবেই চাইছে গাজায় যুদ্ধ বিরতি। সৌদি আরব মিসর ও কাতার সফর শেষ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ক্লিংকেন বর্তমানে ইসরাইল সফর করছেন। এর পূর্বে কাতারের প্রধানম ন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল যানির সাথে বৈটকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবহিত হয়েছেন যে হামাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবের কপি ইসরাইলের কাছে পৌছে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন কিছু মন্তব্য সহ হামাসের প্রস্তাব ইতিবাচক। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ হামাসের মন্তব্য সহ প্রস্তাবটি গ্রহন করেছে। এদিকে ইসরাইলের যে সকল বন্দী গাজায় হামাসের হাতে বন্দী আছে তাদের মধ্যে ৩১ জন ইসরাইলি মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। দেশটির পক্ষ হতে আরও বলা হয়েছে আমরা ইতিপূর্বে ২০ জন বন্দী ইসরাইলের মৃত্যুর খবর জেনেছিলাম কিন্তু সর্বশেষ খবরে ২৯ জনের মৃত্যুর খবর বিষয়ে নিশ্চিত হইনি। অবশ্য কতজন পনবন্দী মৃত্যুবরন করেছে এ বিষয়ে হামাস বা যুদ্ধ বিরতি চুক্তি কার্যকর কারী সমঝোতা কারীরা ও জানাইনি বা ঘোষনা দেইনি। এদিকে গতকাল ও ইসরাইলি বাহিনী রাফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাবে বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। দখলদার বাহিনীর বিমান হামলা হতে বরাবরের রায় গতকালও নারী ও শিশুদের নিহত হওয়া ঘটনা ঘটেছে। গাজার রাফার পাশাপাশি পশ্চিম ও উত্তর গাজার বিভিন্ন এলাকাতে ব্যাপক ভাবে হামলা চালিয়েছে। ক্ষুধা যেন গাজা বাসিকে ছাড়ছে না। গাজার ফিলিস্তিনিরা এক বেলা খেতে পারছে আবার অনেকে এক/দুই দিন না খেয়ে উপোষ থাকছে। এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে রাফার রনক্ষেত্রে আমাদের যোদ্ধারা বীর বিক্রমে যুদ্ধ করছে এবং প্রতিদিনই দখলদার বাহিনীর সেনা ও সামরিক খান ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। এদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা মুহুর মুহুর ইসরাইলের ভূ-খন্ডে বোমা হামরা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধি করছে। সাগরে হুতি যোদ্ধারা ইসরাইল সহ ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজ গুলোতে হামলা পরিচালনা হতে সামান্যতম দুরে নেই। প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে। জাতিসংঘ আবারও হামলা বন্ধের আহবান জানিছে। সৌদি আরব তখনই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে যখন স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটবে এমনটি জানিয়েছে সৌদি আরব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com