‘বাংলাদেশ কি নিজের ফাঁদে নিজেরাই ধরো পড়লো? সিলেটে একটু স্পিন সহায়ক পিচ বাদ দিয়ে বাড়তি গতি ও বাউন্সি পিচে টেস্ট আয়োজন করে উল্টো নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে না তো বাংলাদেশ? সিলেটের উইকেট কি তবে টাইগারদের জন্য ‘বুমেরাং’ হলো? পিচটা কি মুজারাবানির পক্ষে ছিল? আর ৬ ফুট ৭ ইঞ্চির দীর্ঘদেহী মুজারাবানির বাড়তি গতি ও বাউন্সেই কি সর্বনাশ টাইগারদের? তার লাফিয়ে ওঠা বল খেলতে গিয়েই কি নাভিশ^াস উঠলো টাইগার ব্যাটারদের? এমন প্রশ্ন এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সব সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার হাবিবুল বাশার সুমনকে টেস্ট শেষ হওয়ার পর এ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সুমন উইকেটকে দোষ দিতে নারাজ। তার কথা, উইকেট ঠিকই ছিল। উইকেটের কোন দোষ নেই। আর উইকেটের কারণে সর্বনাশও হয়নি। নিজের ও দেশের টেস্ট অভিষেকে ফিফটি করা হাবিবুল বাশার বলেন, ‘না, না উইকেট বুমেরাং হবে কেন? আমরা যদি জিম্বাবুয়ের সাথে এমন বাড়তি গতির ও বাউন্সি উইকেটে না খেলি, তাহলে কার সাথে খেলবো বলেন? আমাদের যদি আমাদের চেয়ে র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের সাথে ফাস্ট ও বাউন্সি ট্র্যাকে খেলতে ভাবতে হয়, তাহলে কি করে চলবে? আমারতো মনে আছে, আমরা আফগানিস্তানের সাথেও টেস্টে বাউন্সি পিচে খেলেছি এবং ম্যাচ জিতেছিলাম মিরপুরে। সব উইকেট পেসাররাই পেয়েছিল। উইকেট নিয়ে আমার মনে হয় না তেমন চিন্তা করা উচিৎ।’ সুমনের অনুভব, ‘বাড়তি উচ্চতায় লাফিয়ে ওঠা নয়, পিচের বাউন্সটা ‘ইভেন’ বা সমান ছিল না। কিছু বল বিপজ্জনকভাবে লাফিয়ে উঠেছে। সে ক্ষেত্রে ব্যাটারদের খেলা কঠিন হয়েছে। সেটা জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের জন্যও হয়েছে। একটু আন ইভেন বাউন্স ছিল। আমার মনে হয় সেটাই হয়ত সমস্যার উদ্রেক ঘটিয়েছে। সত্যিকারের বাউন্সি উইকেট মানে ইভেন বাউন্সড পিচ হলে মনে হয় সমস্যা কম হতো। আমরা আফগানদের সাথে মিরপুরে যে পিচে খেলেছিলাম, সেটা ছিল ট্রু বাউন্সি পিচ। গুড বাউন্স ছিল তাতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই বাউন্সটা মুজারাবানি খুব ভালভাবে ব্যবহার করেছে। আমাদের নাহিদ রানা সেভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। আমার মনে হয় ফাস্ট ও বাউন্সি পিচ নিয়ে আমাদের চেয়ে জিম্বাবুয়ের চিন্তার কারণ বেশি ছিল। ওদের মুজারাবানি একাই জোরে বোলার। আমাদের তো তিনজন ফাস্ট বোলার; নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ আর খালেদ আহমেদ। অ্যাডভান্টেজ বরং আমাদের পাওয়া উচিৎ ছিল।’