সিরাজুল ইসলাম খুলনা থেকে : আগামী অক্টোবর ২০২৩ এর শেষ সপ্তাহে চালু হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌ বন্দর মোংলার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ। ইতিমধ্যে এই রেল পথের কাজ ৯৮/ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখন চলছে খুটি নাটি কাজ যা চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। খুলনা -মোংলা রেল পথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে মোংলা বন্দর সহ দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ব্যাবসা বাণিজ্য নতুন দিগন্ত উম্মেচিত হবে। শুধু সারা দেশের সংঙ্গে নয় রেলপথটি আন্তর্জাতিক রেল রুট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে বন্দরের ব্যাবসা বাণিজ্য গতিশিল হবে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে যানাগেছে। ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত নেপাল ও ভূটান পন্য পরিবহন সহজ করতে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দর পযন্ত রেলপথ স্থাপন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১০সালে ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)সভায় এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে বিভক্ত,এর মধ্যে রয়েছে রুপসা নদীর উপরে রেল সেতু নির্মাণ, মূল রেললাইন স্থাপন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং স্থাপন। ২০১১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম সংশোধনিতে ব্যায় বেড়ে দাড়ায় ৩ হাজার ৮শত এক কোটি টাকা। ২০২১ সালে ডিসেম্বরের প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফায় সংশোধনের পর ২০২২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয় সেই সংঙ্গে ব্যায় বেড়ে দাড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো, রুপশা নদীর উপর রেলসেতু র্নিমান কাজ করছে বাকি কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক আরিফুজ্জামান বলেন করোনা পরিস্থিতি ও নানা কারণে কাজ শেষ করতে সমায় লেগেছে। দুই দফায় প্রকল্প সংশোধনের কারণে ব্যায় বেড়েছে ২হাজার ৫৩৯ টাকা তবে তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যায় বাড়েনি। আসা করছি এবার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে। বাগেরহাট তিন আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুননাহার বলেন রেললাইনটি ভারত নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে পন্য পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে চিংড়ি ও গার্মেন্টসে পরিবহনে সহজ হবে।