শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

অধিক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই -সিইসি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২

এফএনএস: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা চাই অধিক অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন। এজন্য শিক্ষাবিদদের মতামত নিয়ে আরও ঋদ্ধ হবো। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৩০ জন শিক্ষাবিদকে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানালেও এতে অংশ নেন মাত্র ১৩ জন। সিইসি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সংলাপের উদ্দেশ্যে ব্যক্ত করা হয়েছে। এই কমিশন নবগঠিত কমিশন। কমিশনের কাজ হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও লোকাল গভরমেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করা। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলেছেন। আগের নির্বাচন পুরো অংশগ্রহণমূলক বিভিন্ন কারণে হয়তো হয়নি। সেজন্য আমরা চাই নির্বাচনটা (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন) যাতে আরও অধিক অংশগ্রহণমূলক হয়। সিইসি বলেন, সংলাপের মাধ্যমে প্রকৃত জনগণের মতামত ওঠে আসবে। সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে কী কী করণীয় হতে পারে, আপনাদের (শিক্ষাবিদ) মতামত নিয়ে আমরা অনেক কিছু আহরণ করতে পারবো, আরও ঋদ্ধ হবো। আগামী ২২ মার্চ বিশিষ্ট জনদের সঙ্গে এবং ৩০ মার্চ গণমাধ্যমের সঙ্গে বসতে পারে ইসি। অন্য মহলের সঙ্গে কবে নাগাদ বৈঠক হবে, তা এখনো চ‚ড়ান্ত হয়নি। গত ২৬ ফেব্র“য়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন তারা শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্র“য়ারি। এরপর পুরোদমে এখনো কাজ করেনি কমিশন। এরমাঝে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ভোটার দিবস উদযাপন ও নানা আনুষ্ঠানিকতা করেছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর এত তাড়াতাড়ি আগের কোনও কমিশন মতবিনিময় বা সংলাপে বসার উদ্যোগ নেননি। অবশ্য দায়িত্ব নিয়ে গত ২৮ ফেব্র“য়ারি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন- আমরা দলগুলোকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে পারি। নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন ২০১৭ সাল। সে বছর ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে কার্যত ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। এরপর ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসেছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদার কমিশন। সর্বশেষ সংলাপ থেকে আসা সুপারিশগুলো দু’টো প্রধান ভাগে ভাগ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে একটি অংশ নিজেদের এখতিয়ারভুক্ত। অন্যটি সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। সরকারের এখতিয়াভুক্ত সুপারিশগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় কমিশন। আর অন্যগুলো নিজেদের কর্মপরিকল্পনার ভেতর অন্তর্ভুক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com