এফএনএস: অপরাধ কমাতে পুলিশের কাছে ওইভাবে কোনও ম্যাজিক নেই উল্লেখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, অপরাধ কমাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঢাকাসহ সারা দেশের পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে পুলিশের প্রতিটি ইউনিটের সদস্যরা কাজ করছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকাসহ সারা দেশে চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। এসব অপরাধ কমাতে পুলিশ কী ভূমিকা নিচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, আপনারা দেখছেন, এসব অপরাধ কমাতে আমরা কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঢাকাসহ সারা দেশের পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ওইভাবে কোনও ম্যাজিক নেই। আপনারা জানেন কী অবস্থা এবং কোথা থেকে উঠে এসে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীকে জাগিয়ে তোলা, আস্থা ও মনোবল ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই, মানুষের আরও কাছে যাই। মানুষ আমাদের আরেকটু সহযোগিতা করুক, গ্রহণ করুক। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রতিনিধিদেরও সাহায্য চাচ্ছি। তারা যেন আমাদের কমিউনিটির কাছে নিয়ে যেতে আরেকটু প্রচেষ্টা চালান। আইজিপি আরও বলেন, পুলিশের যেসব কর্মকর্তার চাকরি ১০—১২ দিন আছে তাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি নিজে অবসরে গিয়েছিলাম। আবার দায়িত্ব পেয়েছি। কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারবো জানি না। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, আপনাদের সাহায্য ও পরামর্শ চাই। বিদায়ের সময় যেন সম্মান নিয়ে যেতে পারি। বিভিন্ন জেলার ছাত্র সমন্বয়কদের হত্যার হুমকির বিষয়ে প্রশ্নে আইজিপি বলেন, প্রতিটি ঘটনা এনালাইস করেছি এবং সুরহা করেছি। কালিয়াকৈরের ঘটনা ছিনতাইয়ের। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের। ছাত্র সমন্বয়কদের নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গিয়েছি। তারা দেখেছেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারাও সন্তুষ্ট। এটা টার্গেট কিলিং নয়। আইজিপি বলেন, ব্র্যাকের মেহের নামের একজন ছাত্রকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেটি সত্য। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ থেকে জাহিদ হাসান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতিটি ঘটনার সুরহার জন্য চেষ্টা করছি। তবে প্রতিটি ঘটনা একইসূত্রে গাঁথা তা নয়।