শুরুটা হয়েছিল জয় দিয়ে। এরপর টানা পাঁচ হার। জিততে ভুলে যাওয়া চেন্নাই সুপার কিংস অবশেষে গেরো খুললো। লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয়ে ফিরলো মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়ায় চেন্নাইকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রাচিন রাবিন্দ্র আর শেখ রাশেদ। ২৯ বলে ৫২ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন তারা। রাশেদ ১৯ বলে ২৭ করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। রাচিনের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৩৭। এরপর দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেন রাহুল ত্রিপাথি (৯) আর রবীন্দ্র জাদেজা (৭)। ১৩তম ওভারে ৯৬ রানে ৪ উইকেট হারায় চেন্নাই। বিজয় শঙ্কর ৯ রানে আউট হলে আরও চাপে পড়ে দলটি, ১১১ রানে হারায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে চেন্নাইকে পথ দেখিয়েছেন শিভাম দুবে আর অধিনায়ক ধোনি। ২৮ বলে ৫৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দল জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তারা। ধোনি ১১ বলে ২৬ আর দুবে ৩৭ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চেন্নাই। এর আগে রিশাভ পান্তের ফিফটির পরও বোলারদের নৈপুণ্যে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে ৭ উইকেটে ১৬৬ রানেই আটকে দিয়েছিল চেন্নাই। ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনৌ। এইডেন মার্করাম বল সমান ৬ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন। মারকুটে ব্যাটার নিকোলাস পুরানও দাঁড়াতে পারেননি। ৯ বলে ৮ রান করে আউট হয়ে যান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মোটে ৪২ রান তুলতে পারে লখনৌ। মিচেল মার্শ সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার ২৫ বলে ৩০ রানের ইনিংসটিও ঠিক টি—টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। ১৭ বলে ২২ করে আউট হন আয়ুশ বাদানি। ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারায় লখনৌ। ততক্ষণে ১৩.৪ ওভার পেরিয়ে গেছে। বিপদ বুঝে ধরে খেলতে থাকেন অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করে ৪২ বলে ফিফটি করেন তিনি। সেট হয়ে হাত খোলেন পান্ত। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে পাথিরানার শিকার হন তিনি। ৪৯ বলে ৪টি করে চার—ছক্কায় পান্তের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান। মাঝে ১১ বলে ২০ রান করে দিয়ে যান আবদুল সামাদ। রবীন্দ্র জাদেজা ও মাথিসা পাথিরানা নেন দুটি করে উইকেট।