এফএনএ স্পোর্টস: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বেশ আগেই দূরে ছিটকে গিয়েছিলেন পিটার নেভিল। তবে রাজ্য দলে তিনি ছিলেন মহীরূহ। এবার সেই অধ্যায়েরও সমাপ্তি। স্বীকৃত ক্রিকেটে ১৩ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিপার-ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৭ টেস্ট ও ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেন নেভিল। সবকটিই ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে। এরপর আর জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে ছিলেন দারুণ উজ্জ্বল। ৩৬ বছর বয়সে থামালেন সেই পথচলা। ২০১৫ অ্যাশেজের মাঝপথে ব্র্যাড হাডিন পারিবারিক কারণে দেশে ফিরলে লর্ডস টেস্ট দিয়ে নেভিলের অভিষেক। প্রথম টেস্টে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন, দ্বিতীয় টেস্টে করেন লড়িয়ে ফিফটি। তবে ক্রমে ব্যাটিংই হয়ে ওঠে তার মাথাব্যথার কারণ। কিপিংয়ে দুর্দান্ত দক্ষতা নিয়ে ছিল না প্রশ্ন। ১৭ টেস্ট খেলার পর সেই ব্যাটিংয়ের কারণেই জায়গা হারান দলে। ৩ ফিফটিতে ৪৬৮ রান করেন কেবল ২২.৬৮ গড়ে। ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেন, এর মধ্যে ছিল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। কিন্তু এখানেও ব্যাট হাতে তার ওপর ভরসা রাখতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৮ নম্বর, ৯ নস্বর, এমনকি ১০ নম্বরেও খেলানো হয় তাকে। পরে ম্যাথু ওয়েডের উত্থানে বাদ পড়ে যান নেভিল। আর জায়গা পাননি অস্ট্রেলিয়া দলে। কিন্তু শেফিল্ড শিল্ডে নিজেকে নিয়ে যান রেকর্ড উচ্চতায়। নেভিলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভিক্টোরিয়ায়। এই রাজ্যের হয়েই খেলতে চেয়েছিলেন শেফিল্ড শিল্ডে। কিন্তু তাসমানিয়া থেকে ম্যাথু ওয়েড এসে জায়গা করে নেন ভিক্টোরিয়ায়। ওয়েড আবার তাসমানিয়া ছেড়েছিলেন টিম পেইনের উপস্থিতির কারণে। ওয়েড ভিক্টোরিয়ায় থিতু হয়ে যাওয়ায় নেভিল পাড়ি জমান নিউ সাউথ ওয়েলসে। শেফিল্ড শিল্ডের সফলতম দলটির হয়ে ক্রমে তিনি হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি। শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে একশর বেশি ম্যাচ খেলা কেবল চার ক্রিকেটারের একজন তিনি। নেতৃত্ব দিয়েছেন রেকর্ড ৪৩ ম্যাচে। রাজ্যের হয়ে ৩১০ ক্যাচের রেকর্ডও তার। তার নেতৃত্বেই এসেছে দলের সবশেষ শিল্ড ট্রফি। সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১২৬ ম্যাচে ১০ সেঞ্চুরি ও ৩৬.৮১ গড়ে তার রান ৫ হাজার ৯২৭, উইকেটের পেছনে ডিসমিসাল ৪১৬টি। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে আপাতত কোচিং করানোর কথা ভাবছেন নেভিল। মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে বিগ ব্যাশে যে অভিজ্ঞতা তার খানিকটা হয়ে গেছে এর মধ্যেই। এছাড়াও আর্থিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করার জন্য মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করার কাছাকাছিও আছেন।