এফএনএস স্পোর্টস: একটা সময় ছিল, যখন জেমস অ্যান্ডারসন তার অগ্নিঝরা বোলিং দিয়ে ২২ গজে দাঁড়ানো ব্যাটারদের বুকে কাঁপন ধরাতেন। দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সর্বাধিক উইকেটশিকারিও হয়েছেন তিনি। সেই তুখোড় পেসার চলতি অ্যাশেজ সিরিজে নির্বিষ বোলিংয়ের কারণে সমালোচিত হচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচে মাত্র চার উইকেট। তাহলে কি অবসরের ঘোষণা দেওয়ার সময় হয়ে এলো? এই সপ্তাহে ৪১তম জন্মদিন পালন করতে যাওয়া পেসার তেমন কিছু ভাবছেন না। অ্যাশেজের মতো বড় সিরিজে বড় প্রভাব ফেলতে না পারায় হতাশ অ্যান্ডারসন। টেলিগ্রাফ-এ এক কলামে তিনি লিখেছেন, ‘আমার এখনও মনে হচ্ছে আমি ভালো বোলিং করছি।’ তিনি লিখেছেন, ‘অবশ্যই এই সিরিজে যেমনটা চেয়েছিলাম, সেভাবে ফিরতে পারিনি। সবাই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যায় কিন্তু আপনি চাইবেন না হাইপ্রোফাইল একটি সিরিজে তেমন কিছু হোক। ১০ বা ১৫ বছর আগে বিতর্ক ছিল আমাকে বাদ দেওয়া উচিত কি না। এখন আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়, আমি বুঝতে পারি সেটা। এই ওভালে সিরিজ শেষ হচ্ছে এবং গুঞ্জনও উঠছে।’ তবে কোচ ও অধিনায়ককে পাশে পাচ্ছেন অ্যান্ডারসন, ‘আমি কোচ ও অধিনায়কদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা আমাকে দলে চায়, তাই যতদিন আমি ক্ষুধার্ত থাকবো, আমি খেলে যাবো এবং দলের জন্য আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। এই মুহূর্তে আমি এটাই চাইছি।’ অ্যান্ডারসন যোগ করেন, তিনি আগের মতোই এখনও টেস্ট ক্রিকেট ভালোবাসেন এবং ইংল্যান্ডের হয়ে গত ১৪ মাস ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় সময়। তিনি লিখেছেন, ‘অবসর নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। আমি যদি বাজেভাবে বল করি, আমার গতি কমে যায় এবং মাঠে হোঁচট খাই, আমাকে ভিন্নভাবে চিন্তা করতে হবে। কিন্তু এখনও ক্ষুধা আছে, মনে হচ্ছে আমি এখনও ভালো বোলিং করছি। এখনও দলকে দেওয়ার মতো কিছু আছে। আমি এখনও দলের জন্য কিছু দিতে পারি। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মনে হয় ভালো বল করেছিলাম এবং আমি যদি আরেকবার এই সপ্তাহে সুযোগ পাই, একইভাবে চেষ্টা করবো। আশা করি আমার ভাগ্য বদলাবে।’ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট খেলতে চান এই পেসার, ‘কয়েকজনের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম কারণ এমন কিছুর মধ্যে দিয়ে যাওয়া অবশ্যই হতাশার। আপনি হতাশ হবেন এবং দলকে সাহায্য করতে ও জেতার জন্য মরিয়া থাকবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই সিরিজটা আমার জন্য ছিল না। আমার এখনও একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে, যদি সেটা পাই আমি চেষ্টা করবো সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা দেওয়ার।’