দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী কি জাতিসংঘের উর্ধে? ইসরাইলিদের ক্ষমতা কি বিশ্বের সকল দেশঅপেক্ষা অধিকতর শক্তিশালী? দখলদার ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে কি কোন ধরনের প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়? এমন প্রশ্ন আজ বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে। দখলদার ইসরাইল গত বছরের সাত অক্টোবরের পর থেকে গাজা উপত্যকায় অনেক পর এক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করে আসছে আর উক্ত বিমান ও স্থল হামলায় নির্বিচারে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ করে কিন্তু দখলদার ইসরাইলি বাহিনী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাশ করা যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবকে কোন ভাবেই পাত্তা না দিয়ে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা পরিচালনা অব্যাহত রখেছে। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে গত চারদিন ব্যাপী দখলদার বাহিনীর সদস্যরা গাজার সর্বত্র হামলা পরিচালনা করে চলেছে। মধ্যগাজা ও তার আশপাশের এলাকা গুলোতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা নির্মম ভাবে বিমান হামলা পরিচালনা করছে। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে দখলদার বাহিনীর সদস্যরা মধ্য গাজা এমন ভয়াবহ অভিযান পরিচালনা করেনি। এদিকে রামাল্লা শহর ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে সপ্তাহব্যাপী দখলদার বাহিনীর ক্রামগত বিমান হামলায় চিরচেনা রামাল্লা শহর বিরান ভূমিতে পরিনত হয়েছে। পবিত্র রোজার দিনগুলোতে গাজার মসজিদগুলোর (ধ্বংস হওয়া) অংশে আযান এর ধ্বনি উচ্চারনের পাশাপাশি ইফতারির আয়োজন চলছে। ফিলিস্তিনিরা সিহরী খেয়ে এবং না খেয়ে রোজা আদায় করছে। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে ইফতারি সামগ্রী গ্রহণ কালে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় দুই দফায় বিশজনের অধিক ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার ঘটনায় দৃশ্যতঃ ইফতারী প্রদান ও বিতরন কর্মযজ্ঞ গুলোতে ফিলিস্তিনিদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর পক্ষ হতে বলা হয়েছে উত্তর গাজা ও খান ইউনিস এলাকা হতে হামাস সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করার মধ্য দিয়ে আমাদের বাহিনী যে সাফল্য অর্জন করেছে তা আগামী দিনগুলোতে ইসরাইলের বাহিনীর জন্য আশার খবর। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর পক্ষ হতে আশার এবং সাফল্যের কথা বলা হলেও হামাস যোদ্ধাদের প্রতি মুহুর্তের প্রতিরোধ হামলায় ক্ষত বিক্ষত এবং বিপর্যস্থ ইসরাইলি বাহিনী। খান ইউনিসের স্বনামধন্য হাসপাতাল আল আকসা হাসপাতালে দখলদার বাহিনী উপর্যপুরী তথা একের পর একবিমান হামলা পরিচালনা করে হাসপাতালটিকে ধ্বংস করেছে। এখানেই কেবল শেষ নয় দখলদার বাহিনী গাজায় অন্ততঃ বিশটির অধিক হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। গতকাল পশ্চিমা মিডিয়া ও রয়টার্স এর খবরে বলা হয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছে আমাদের সেনারা অতি দ্রুততার সাথে রাফা অভিযান শেষ করবে। তিনি আরও বলেন রাফায় হামাস সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে চলেছে ইসরাইলি সেনারা হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেড আবারও রাফা সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছে উক্ত বিবৃতিতে হামাস বলেছে আমাদের যোদ্ধারা রাফায় বীর বিক্রমে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ইসরাইলের বর্বর সেনারা রাফার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতিজনই যেন এক এক জন হামাস আর দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর এমন ধারনা হতে দখলদার বাহিনী পুরো ফিলিস্তিনি অধিবাসিদের কেই তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে গ্রহন করেছে। গাজা যুদ্ধে দখলদার বাহিনীর পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এমন ধারনার কারনে গত কয়েক দিন যাবৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী তহবিল গঠনের বিষয়ে সমর্থকদের প্রতিরোধের খবর পাওয়া যাচ্ছে অর্থাৎ নিজদল ডেমক্রাটরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। এদিকে আন্তর্জাতিক আদালত এবার ইসরাইলকে হুশিয়ারী দিয়ে বলেছে ইসরাইলকে অবশ্যই গাজায় খাদ্য সরবরাহের পরিমান বৃদ্ধি করতে হবে। কোন অবস্থাতেই ইসরাইল গাজায় খাদ্য সরবরাহ প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্থ করতে পারবে না।