বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে বৈদেশিক বানিজ্যে ও মুদ্রায় সুবাতাস বইছে। দিনে দিনে আমাদের অর্থনীতির চাকা অতি দ্রুততার সাথে ঘুরছে তো ঘুরছেই। বছর বছর দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ তথা ভিত্তি এমন স্তরে পৌছেছে যে পরিস্থিতি ও বাস্তবতা অব্যাহত থাকলে আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি সুদৃঢ় ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে। আমাদের অর্থনীতির বিশেষ ভিত্তি বৈদেশিক মুদ্রা আর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মোক্ষ্যম মাধ্যম হিসেবে যতগুলো মাধ্যম যথাযথ ভূমিকা রেখে চলেছে তার মধ্যে অন্যতম চিংড়ী শিল্প। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ক্ষেত্রে গত কয়েক দশক যাবৎ চিংড়ী শিল্পের অবস্থান ও অবদান লিখে শেষ করা যাবে না। চিংড়ীর উৎপাদনে এবং বিশ্ব বাজারে রপ্তানীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কেবলমাত্র বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে চলেছে তা নয়, এই শিল্পের মাধ্যমে দেশ বিশ্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ভাবে আলোচিত, আলোকিত ও পরিচিত হচ্ছে। আমাদের দেশের সামগ্রীক বাস্তবতা ও পরিস্থিতির বিবেচনায় বর্তমান সময়ে এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ীরা চিংড়ী শিল্পকে বিনষ্ট করনে এবং চিংড়ীর গুনগত মান হীনতায় লেগেছে। অনৈতিকতার মাত্রায় নিয়ে এক শ্রেনির চিংড়ী ব্যবসায়ীরা চিংড়ীর ওজন বৃদ্ধি করার লক্ষে চিংড়ীতে অপদ্রব্য পুশ করে চলেছে যা আমাদের অপার সম্ভাবনাময় এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মোখ্যম মাধ্যম চিংড়ীর গুনগত মান নষ্ট হচ্ছে একই সাথে বিশ্ব বাজারে চিংড়ীর কাঙ্খিত ওজন বৃদ্ধিতে চলমান পুশ। দেশের মোট উৎপাদিত চিংড়ীর সিংহ ভাগ উৎপাদিত হয় সাতক্ষীরা জেলায় বিধায় সাতক্ষীরার চিংড়ীতে পুশ হলে তার প্রভাব অবশ্যই জাতীয় অর্থনীতিতে পড়তে বাধ্য। চিংড়ীতে পুশ রোধ করতে হবে এবং যে বা যারা এমন অসাধু প্রক্রিয়ায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।