বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। আবহমান কাল যাবৎ আমাদের দেশবাসি ছয় ঋতুর সাথে বিশেষ ভাবে পরিচিত। ছয় ঋতুর বাংলাদেশ বিশেষ ভাবে পরিচিতি পেলেও সা¤প্রতিক বছর গুলোতে বাংলাদেশ তার চিরচেনা, পরিচিত ছয় ঋতু হতে ক্রামান্বয়ে সরে আসছে। অর্থাৎ ছয় ঋতুর বাংলাদেশ দৃশ্যতঃ গুটি কয়েক ঋতুতে পরিনত হয়েছে যার বহিঃপ্রকাশ শীত ঋতুতে বৃষ্টিপাত। কেবল সামান্য বৃষ্টিপাত নয়, মুষলধারে, অবিরাম বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটেছে। ইতিপূর্বে শেষ হওয়া বর্ষা মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাতের দেখা না মিলেও শেষ মৌসুমে অন্তত তিনবার আকাশ বন্যার ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় দীর্ঘদিন যাবৎ চিংড়ী ঘের গুলো পানিতে তলিয়ে থাকে। সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমান ক্ষতির মুখে পড়ে। হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত চিংড়ী মাছ পানিতে ভেসে যায় যে কারনে সাতক্ষীরা চিংড়ী ও ঘের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয় এবং ক্ষতির মুখে পড়ে। গত কয়েকদিন যাবৎ ব্যাপক ভাবে বৃষ্টিপাতের কারনে সাতক্ষীরার জনজীবনে নেমে আসে অস্থিরতা সাতক্ষীরার বিশলক্ষাধীক মানুষ চরম ভাবে বিপদজনক পরিস্থিতির মুখে। কৃষিতেও ব্যাপক ভাবে ছন্দপতন ঘটেছে। সাতক্ষীরার মানুষের অন্যতম বলাযায় একমাত্র অবলম্বন চিংড়ী ব্যবসা এবং ঘের বিধায় অতি বৃষ্টিপাতের কারনে বারবার চিংড়ী ঘের ডুবে গেছে। আবহাওয়ার এই চরম বিপর্যয়ের মুখে জনসাধারনকে বিশেষ ভাবে অবলম্বন জলবায়ূ পরিবর্তন রোধ করা। সাতক্ষীরার অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলেছে বিশ্ব বিধায় জলবায়ূ মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।