এফএনএস লাইফস্টাইল: অ্যাকুরিয়ামের জলে নানা রঙের মাছের খেলা দেখতে কার না ভালো লাগে। বাজারে নানা ডিজাইন ও আকার-আকৃতির অ্যাকুরিয়াম আছে। বর্তমানে প্রায় সবার ঘরেই ছোট-বড় অ্যাকুরিয়াম থাকে।
অনেক শখ করেই সবাই অ্যাকুরিয়ামে নানা রঙের মাছ চাষ করেন। যদিও এর সঠিক যতœ না নিলে, মাছের খাবার ও পানির গুণাগুণ ঠিক না থাকলে কিংবা মাছ অক্সিজেন না পেলে মারা যেতে পারে। এর পাশাপাশি অ্যাকুরিয়াম নিয়মিত পরিষ্কার রাখাও জরুরি। সেক্ষেত্রে অনেকদিন পর্যন্ত মাছ বেঁচে থাকে।
আজ কিন্তু অ্যাকুরিয়াম পরিষ্কার করার দিন। যাদের ঘরে অ্যাকুরিয়াম আছে, তারা আঁচ ঝটপট এটি পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তার আগে জানতে হবে ধাপে ধাপে কীভাবে পরিষ্কার করবেন কাচের অ্যাকুরিয়ামটি। রিইলো টিপস-
>> অ্যাকুরিয়ামে কৃত্রিম অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকলে আগে সেটি বন্ধ করুন। তারপর মাছগুলোকে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিন সতর্কতার সঙ্গে।
>> এবার অ্যাকুরিয়ামের পানি তুলে ফেলুন। তারপর কাচের দেওয়ালগুলো পরিষ্কার করুন। একটি শৈবাল প্যাড যেমন লাইফগার্ডের অ্যাকোয়ারিয়াম শৈবাল প্যাড ব্যবহার করতে পারে। চাইলো পুরোনো টুথব্রাশও ব্যবহার করতে পারেন।
>> পরবর্তী ধাপে অ্যাকুরিয়ামের ভেতরে থাকা কৃত্রিম গাছপালা, অলঙ্করণ ও বড় শিলাগুলো সরিয়ে ফেলুন ও ওইসব স্থানগুলো ভালো করে পরিষ্কার নিন। পরিষ্কারের সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
এক্ষেত্রে কোনো ধরনের সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না। স্ক্রাব করার পরেও সেগুলো পরিষ্কার না হলে সামান্য বিøচ মেশানো পানিতে রেখে সেগুলো ঘষে পুনরায় পরিষ্কার করে নিন।
>> এবার অ্যাকুরিয়ামে থাকা নুড়ি পাথরগুলো ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। একটি অ্যাকুরিয়াম যত বেশি পুরোনো হয়, এতে তত বেশি ডেট্রিটাস বা উচ্ছিষ্ট খাবার, মাছের বর্জ্য ও ক্ষয়কারী কণা পদার্থের পচনশীল অবশিষ্টাংশ জমা হতে থাকে।
এক্ষেত্রে একটি নুড়ি ভ্যাকুয়াম ব্যবহার করতে পারে। এটি এমন একটি সরঞ্জাম যা এই নোংরা অ্যাকোয়ারিয়ামের ধুলোর বড় পরিমাণ সরিয়ে দেয়। পানিতে রেখে ঘষে ঘষেও পরিষ্কার করতে পারেন এই নুড়িগুলো।
>> এই পর্যায়ে ট্যাঙ্ক ফিল্টার পরিষ্কার করুন। আপনার ফিল্টার মিডিয়া প্যাকেজিংয়ের নির্দেশাবলী দেখুন কীভাবে ও কত ঘন ঘন সেটি পরিবর্তন করা উচিত তা নির্ধারণ করুন। এ ক্ষেত্রে নিশ্চিত করুন, আপনি ফিল্টার টিউবিং ও পানির সংস্পর্শে আসা ফিল্টারের অন্যান্য অংশগুলোও ধুয়ে ফেলছেন।
>> অ্যাকুরিয়াম পরিষ্কার শেষে এবার নতুন পানি যোগ করুন। এটি ট্যাঙ্কের পুরোনো পানির মতো একই তাপমাত্রার কাছাকাছি হতে হবে। ক্ষতিকারক ক্লোরিন ও ক্লোরামাইন যা কলের পানিতে উপস্থিত থাকে তা অপসারণের জন্য পানির কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
>> সবশেষে অ্যাকুয়ারিয়ামের বাইরের দেয়াল পরিষ্কার করুন। কাগজের তোয়ালে ও সাদা ভিনেগার দিয়ে বাইরের অংশ পরিষ্কার করে নিন।
কতদিন পরপর অ্যাকুরিয়াম পরিষ্কার করবেন?
বেশিরভাগ মাছের ট্যাঙ্কগুলো মাসে একবার সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা প্রয়োজন। আপনার অ্যাকুরিয়ামে যদি বেশি পরিমাণে মাছের মজুদ থাকে তাহলে অ্যাকুরিয়াম আরও বেশি নোংরা হবে, সেক্ষেত্রে একমাস হওয়ার আগেই পরিষ্কার করতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা অ্যাকুরিয়ামে প্রতি এক গ্যালন পানিতে একটির বেশি মাছ না রাখার পরামর্শ দেন। সূত্র: বি চিউয়ি