বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়নগরে মন্দির ভিত্তিক স্কুলের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় শ্যামনগরে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির কর্মি টি এস অনুষ্ঠিত তালায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত সাতক্ষীরায় বিজয় দিবসে সদর উপজেলা বিএনপির র্যালি কলারোয়ায় টালি মালিক সমিতির নব—কমিটি গঠন সভাপতি গোষ্ট পাল ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নুসরাতের নৃশংস হত্যাকারী জনির ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন আশাশুনি আশার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে যত ক্ষতি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

এফএনএস স্বাস্থ্যপাতা: বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাকে সহজতর করেছে শক্তিশালী অনেক অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কার। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধকে অকার্যকর করার জন্য জীবাণুরাও নিজেদের করেছে উন্নত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা মতে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তখন বলা হয় যখন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস ও অন্যান্য পরজীবী জীবাণু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ এদের আর ধ্বংস করতে পারে না। এতে যেকোনো সংক্রমণের চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে এবং জটিল ও প্রাণঘাতী রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
দেশে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধী সংক্রমণের সঠিক সংখ্যা পাওয়া যায় না। তবে এই সংখ্যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। দেশে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণায় মৎস্য খাদ্য, পশু খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের যথেচ্ছ ব্যবহারের চিত্র উঠে এসেছে।
কারণ
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। অন্যান্য জীবের মতো ব্যাকটেরিয়াও বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে অভিযোজিত করে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরবর্তী সময়ে এই প্রতিরোধক্ষমতা ‘ডিএনএ’-এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মে বাহিত হয়। এই পরিবর্তিত জীবাণু এরপর ওষুধ প্রতিরোধী সংক্রমণ ঘটাতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ইনফেকশন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভব একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলেও এর জন্য অনেক কারণ দায়ী। আর সেগুলো হচ্ছে-
– অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের যথেচ্ছ, অপ্রয়োজনীয় ও অতি ব্যবহার।
– সঠিক রোগ নির্ণয়ের আগে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রবণতা।
– অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সঠিক মাত্রা ও ব্যবহারের কাল নিশ্চিত না করা।
– প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এ ধরনের ওষুধের ক্রয়-বিক্রয়।
– জনগণ ও ওষুধ বিক্রেতা উভয়ের অজ্ঞতা।
– যথাযথ আইনের অভাব ও বিদ্যমান আইনের প্রয়োগের অভাব।
– পশু খাদ্য, মৎস্য খাদ্য ও কৃষিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল জাতীয় ওষুধের লাগামহীন ব্যবহার।
– হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও বিস্তার রোধের অপ্রতুল ব্যবস্থা।
করণীয়
– শুধু রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
– চিকিৎসককে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।
– ওষুধের মাত্রা ও সেবনকাল মেনে চলতে হবে।
– একজনের বেঁচে যাওয়া বা অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্যজন সেবন করবে না (রোগের লক্ষণ এক হলেও)।
– সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
– যেসব প্রতিষ্ঠানে অ্যান্টিবায়োটিকসমৃদ্ধ মাছের খাবার, পোল্ট্রি ফিড ব্যবহার করা হয়, তাদের বর্জন করা।
– শুধু সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের পরই সঠিক মাত্রায় প্রয়োজনীয় জীবাণুরোধক ওষুধ প্রদান করতে হবে।
(পরামর্শ দিয়েছেন ডা. পংকজ কান্তি দত্ত সহকারী অধ্যাপক মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ)

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com