কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অর্থ মন্ত্রনালয় দ্বারা পরিচালিত সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে এক সমিতিতে মিনারা খাতুন নামে এক নারী সভাপতি থাকাকালীন সমিতির ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গত আড়াই মাস আগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার বাদী হন এসডিএফের ম্যানেজার মাহবুবুর রহমানসহ কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসি। এ ঘটনায় ওই নারী বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেন দৈনিক পত্রদুত পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক এম আইউব হোসেন। এরপর ওই নারী প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কৌশলে পার্শ্ববর্তী যশোর জেলা আদালতে সাংবাদিক এমএ আইউব হোসেনের নামে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে যশোর সিআইডি বিভাগের অধীন তদন্তাধীন রয়েছে। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো বাজার প্রধান সড়কের পাশে সিনিয়র সাংবাদিক এমএ আইউব হোসেনের নামে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা। মিনারা খাতুন (৫০) নামের ওই নারী উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের দ্বিতীয় স্বামী প্রবাসী জামাল উদ্দীন (৪০) সাথে বসবাস করছেন। মানববন্ধনে বর্তমান এসডিএফ সমিতির সভাপতি আকলিমা খাতুন, সাংবাদিক জাকির হোসেন, মোস্তাক আহমেদ, বাবলু রহমান, আরিফুল হক চৌধুরী, সেলিম হোসেনসহ এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষ বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, এসডিএফ সমিতির নামে এলাকার ৬৭ জন সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে ৪৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। এর প্রতিবাদ করায় নিরাপদ সাংবাদিক এমএ আইউব হোসেনসহ ৬ জনের নামে গত জুলাই মাসে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা সিআর – ৫৪৮/২২ দায়ের করে এসডিএফ এর সাবেক সভাপতি মিনারা খাতুন নামের ওই নারী। এ সময় স্থানীয়রা প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করে বলেন, মিথ্যা এ মামলা থেকে যাতে সাংবাদিকসহ সকলে মুক্তি পায় ও হয়রানিকারী নারীর আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়। এসডিএফ কলারোয়া শাখা ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান বলেন, মিনারা খাতুন নামের ওই নারীর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা কোর্টে সিআরপি ১০১৯/১৯, ১০২০/১৯ ও ১৬০১/২০ চেক ডিসঅর্নার ও মোট ৪৪ লক্ষ ৬৭৯টাকা আত্মসাতের মামলা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০২০/১৯ মামলার রায় দিয়েছে সাতক্ষীরা কোর্ট এ মামলায় ওই নারীকে ৬ মাসের জেল ও অনাদায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করলে। জরিমানা দিয়ে মামলার জামিনের রিভিশনে আছে সে। তবে তার বিরুদ্ধে এসডিএফ অর্থ আত্মসাতের অন্য মামলাগুলো চলমান রয়েছে তার কাছে এখন বর্তমানে এসডিএফ কতৃপক্ষ ২০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। এ সকল বিষয়ে এসডিএফ অফিসে তদন্ত এলে সুশীল মানুষ হিসেবে সাংবাদিকদের ডাকা হলে ওই নারী তারসহ এলাকার সাধারণ ৬জন মানুষের নামে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করে। তিনি এসময় তাদের বিরুদ্ধ মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।