স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের (আইএসইডি) সচিব আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন এর সাথে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মত বিনিময় সভা অনুুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাতে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জেলা নাগরিক অধিকার উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভাপতি দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি টিম সচিব আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দিন সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়। এসময় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা প্রাণ সায়ের খাল খননের অব্যবস্থাপনা শহরের মধ্যে বাসটার্মিনাল থাকায় জানজট সৃষ্টির প্রধান কারন, বিনেরপোতা টু রামচন্দ্রপুর লিংরোড, সাতক্ষীরা টু শ্যামনগর প্রধান সড়কের দুরবস্থা, নোয়াবেকী সেতু, রেল লাইনের অগ্রগতির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। শুধু তাই নয় সাতক্ষীরা পিএন ব্যায়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের এইচএসসি উন্নীতকরন, পৌরসভার নাগরিক সেবা সার্বিক সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়। নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন এগুলি সাতক্ষীরা নিত্য নৈমত্তিক সমস্যা। এছাড়া বহু সমস্যা রয়েছে। সচিব আবুল কাশেম মো: মহিউদ্দনি সাতক্ষীরা বিভিন্ন সমস্যা কথা গুলি অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে শোনেন। পরে তিনি বলেন, আমি আপনাদের তথা সাতক্ষীরা সব সময় মিসকরি। আপনারা সব সময় জেলার উন্নয়নে লক্ষ্যে কাজ করেন। জেলাকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যায় সে বিষয়ে সকল সহায়তা বিগত দিনে আপনাদের কাছ থেকে পেয়েছি। আপনাদের দাবিগুলি অত্যান্ত যৌক্তিক। দাবিগুলি বাস্তবায়িত হলে সাতক্ষীরার উন্নয়ন চিত্র পাল্টে যাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার সম্পর্কে যথেষ্ট খবর রাখেন। সাতক্ষীরার প্রতি তিনি আন্তরিক রয়েছে। আপনাদের দাবি গুলি বাস্তবায়নে আমি সর্বোত্তক চেষ্টা করবো। পরে সাতক্ষীরা উন্নয়নে ২৪ দফা দাবি সংগঠনের সভাপতি জিএম নূর ইসলাম সহ নেতৃবৃন্দ সচিব আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিনের হাতে তুলে দেন। দাবিগুলি হলো- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী নাভারন থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইন দ্রুত কার্যক্রম, জলাবদ্ধতা নিরসন জেলার সকল নদ-নদী ও খালগুলি পুনঃ খরনের ব্যবস্থা করা, যশোর, নাভারণ থেকে মুন্সিগঞ্জ ও ভোমরা থেকে খুলনা পর্যন্ত ৪ লেন রাস্তা উন্নতি করন, সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনকে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান চিহিৃত করার পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য মোটেল নির্মাণ করা, ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসাবে ঘোষনা করা, সাতক্ষীরা থেকে ঘোলা পর্যন্ত রাস্তাটি সম্প্রসারণ ও সংস্কারের ব্যবস্থা করা, সাতক্ষীরায় একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম সহ প্রতিটি উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মান করা, সাতক্ষীরা একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কৃষি কলেজ স্থাপন করা, খুলনা থেকে চুকনগর ভায়া সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা, জেলাকে এ গ্রেডের নিমিত্ত তালা উপজেলার পাটকেলঘাটাকে উপজেলা হিসাবে ঘোষনা করা, জেলায় অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা, জেলার দৃশ্যমান পয়েন্টে ভাস্কর্য এবং সৌন্দর্যবর্ধন করা, বিনেরপোতা থেকে আশাশুনি সড়ক রামচন্দ্রপুর ও দহকুলা হয়ে বাকাল চেকপোষ্ট পর্যন্ত সংযোগ সড়ক স্থাপনকরা, ভোমরা পোর্টের জিরো পয়েন্টে গেট নির্মান ও সৌন্দর্যবর্ধন করা, পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষনা করা, প্রাণসায়ের খাল খনন সহ দুই পার্শ্বে সৌন্দর্যবর্ধন এবং পানি প্রবাহ নিশ্চিতকরা, জেলার সকল হাসপাতাল এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরা, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালকে বাইপাস রাস্তার পার্শ্বে স্থানান্তর করা, বিসিক শিল্পনগরীকে সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা, শিশুদের বিনোদনের জন্য জেলার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে শিশু পার্ক স্থাপন করা, সাতক্ষীরায় প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থা করা, সাতক্ষীরায় একটি এয়ারপোর্ট নির্মানের ব্যবস্থা করা, বসন্তপুর নৌবন্দর চালুর ব্যবস্থাকরা। এসময় উপস্থিত ছলেন অতি: জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জেলা দুর্নিতী প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব ডা: আবুল কালাম বাবলা, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত সাবেক ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবু, সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মশিউর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ পাড়, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কামরুজ্জামান রাসেল, মো: আশরাফউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।