স্টাফ রিপোর্টার \ সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে হামলা, ব্যালট বক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা, দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি, নির্বাচন স্থগিত। জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোস্তফা নুরুল আলম দৃষ্টিপাতকে জানান, পুর্ব নির্ধারিত ঘোষনা অনুযায়ী গতকাল সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চলছিল। হঠাৎ বেলা সোয়া ১১টায় বারের সিনিয়র আইনজীবী এড. এসএম হায়দার, এড. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবী নির্বাচন বুথে প্রবেশ করে। বুথে ঢুকে নির্বাচন কমিশনারের সম্মান হানিকর কথা বলে ভোট বন্ধের প্রচেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে তারা ব্যালট পেপার ছেড়া ও ব্যালট বক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এসময় সাধারন আইনজীবীরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এতে এড. শাহ আলম সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়। তিনি আরো বলেন পরবর্তীতে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বুথে ঢুকে নির্বাচন বন্ধের আহবান করেন এবং নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে যান। এ বিষয়ে বারের সাবেক সভাপতি এড. সম সালাউদ্দীন দৃষ্টিপাতকে জানান, বারে একটি অগঠনতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। সাধারন আইনজীবী নির্বাচন বুথে প্রবেশ করার পরে সাবেক সভাপতির নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা চালায় এবং এড. শাহ আলমের নেতৃত্বে তার কক্ষ ভাংচুর করে। এতে এড. নুরুল আমিন আহত হয়। এড. শাহ আলম দৃষ্টিপাতকে জানান, একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। নির্বাচন বুথে এড. হায়দার আলির নেতৃত্বে বেশ কিছু আইনজীবী বুথে ঢুকে সাধারন আইনজীবী সহ আমার উপর হামলা করে। এসময় নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয় এবং তিনি এড. সালাউদ্দিনের কক্ষে হামলায় জড়িত নন বলে জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এড. এসএম হায়দার দৃষ্টিপাতকে জানান, বারে এড. শাহ আলমের নেতৃত্বে একটি অবৈধ নির্বাচন হচ্ছিল। সেখানে আইনজীবীরা গেলে বারের সাবেক সাধারন সম্পাদক এড. সবুজকে মারপিট করে। পাশাপাশি নারী আইনজীবী শেলী ও মিলিকে লাঞ্ছিত করে। পুলিশের আহবানে তিনি বুথে প্রবেশ করেন। তখন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবির দৃষ্টিপাতকে জানান, নির্বাচনের শুরু থেকে ঐখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহন চলছিল। আইনজীবীদের একটি অংশ নির্বাচনে বাধা দিলে উভয়ের মধ্য হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এড. শাহ আলমকে মারপিট ও নারী আইনজীবী এড. মিলি ও শেলীকে লাঞ্ছিত এবং এড. সালাউদ্দিনের তৃতীয় তলায় রুমের দরজা ও নেমপ্লেট ভাংচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বারের নির্বাচন বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি দৃষ্টিপাতকে জানান, জেলা আইনজীবী সমিতিতে নির্বাচন চলছিল। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলোযোগ সৃষ্টি হয়। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। জেলার বিশ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মাঝে বিরোধ, বিভেদ, হামলা-পাল্টা হামলা, ভাংচুর বিচার প্রার্থী সহ সাধারণ মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি করেছে।