এফএনএস লাইফস্টাইল: সারাদিন অফিস করে কিংবা ব্যবসার কাজ শেষে বাসায় ফিরেছেন। রাতের খাবার খেয়ে শুয়েছেন মাত্র। হঠাৎ ডোর বেল বেজে উঠল। দরজা খোলার পর আপনি এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন যা এ সময় কল্পনাও করেননি। দুয়ারে দাঁড়িয়ে কয়েকজন যারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক বলে পরিচয় দিচ্ছে।
অনেক সময় এই পরিচয়ে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েও অপরিচিত মানুষ আসতে পারে। আসতে পারে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বা স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) লোকজন। তারা যদি আপনাকে নিয়ে যেতে চায় তখন কী করণীয়?
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লিমা বলেন, ‘আমরা টেলিভিশন বা খবরের কাগজ প্রায়ই পড়ি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম করে প্রতারক চক্র কাউকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। আপনাকে রাতে যদি কেউ এসে বলে, সে থানা থেকে এসেছে কিংবা পুলিশের কোনো বিশেষ শাখা থেকে এসেছে অথবা অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক, প্রথমেই আপনি তাকে দরজার এপাশ থেকে সুন্দর করে বলুন- এ সময় নয়, দয়া করে অন্য সময় বা সকালে আসুন। বা আপনার অফিসের ঠিকানা দিন সেখানে গিয়ে কথা বলব।’
‘তারা যদি বাসায় ঢুকতেই চায় তবে আইডি কার্ড দেখতে চাইবেন। কী কারণে এসেছে জানতে চাইবেন। যদি আপনার নামে ওয়ারেন্ট থাকে তবে দেখতে চাইবেন। তারা যদি আপনার বাড়ি তল্লাশী করতে চায় তবে অবশ্যই সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে আসবে।’
আঞ্জুমান আরা লিমা বলেন, ‘যদি তারা এসবের কোনো কিছুই না দেখায়, আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং জোর করে আপনাকে তুলে নিতে চায় তাহলে দ্রæত জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ কল করবেন।’
৯৯৯ আমাদের দেশে খুব ভালো কাজ করছে উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, ‘৯৯৯-এ যোগাযোগ করা হলে তারা চেষ্টা করে ৩০ মিনিটের ভেতর পুলিশ পাঠিয়ে দিতে। তবে ঠিকানাটা সঠিক বলতে হবে। এ ছাড়া আমরা সবাই কোনো না কোনো থানার আন্ডারে থাকি। প্রত্যেক থানার একটি ইমার্জেন্সি নাম্বার থাকে। সেটা রাত-দিন সর্বক্ষণ চালু থাকে। সেই নাম্বার সংগ্রহে রাখলে এ ধরনের জরুরি প্রয়োজনে সেবা পেতে সুবিধা হবে।’
‘বাড়ির যারা কর্তা রয়েছেন আপনাদের উচিত শিশুসহ বাকিদের এসব বিষয়ে আপডেট রাখা। জরুরি প্রয়োজনে কী করতে হবে এসব শেখানো বাবা-মায়ের দায়িত্ব। এই ছোট ছোট পদক্ষেপ আপনাকে বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে।’ বলেন আঞ্জুমান আরা।