এফএনএস স্পোর্টস: আজ রোববার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল। লুসাইলে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে শিরোপা উঠার মধ্যদিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বফুটবলের ২২তম আসরের। টানা দুটি বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়ার হাতছানি ফ্রান্সের সামনে। আর আর্জেন্টিনা মুখিয়ে বিশ্ব সেরার মঞ্চে ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর লক্ষ্যে। কাতারে এবার শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি তারা। পিএসজিতে খেলা দুই সতীর্থের মধ্যেই হবে বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লড়াই। সোনালি সেই ট্রফি জয়ের যুদ্ধে মাঠে নামবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। আজ রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ফাইনালে লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ফাইনাল ম্যাচে কে জিতে শিরোপা ঘরে তুলবে তা নিয়ে চলছে গবেষণা। উভয় দলের সামনেই রয়েছে নিজেদের জার্সিতে থ্রি স্টার লাগানোর সুযোগ। তাই তো সাপোর্টাররা নিজ দলের পক্ষে গলা ফাটাচ্ছেন। ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন। সেবার মেসিদের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি। এবার ফ্রান্সকে হারিয়ে অধরা বিশ্বকাপের ট্রফিটা ধরার সুযোগ মেসির সামনে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে এই বিশ্বকাপ ট্রফিটাই শুধু নেই মেসির শো-কেসে। আর ২৩ বছর বয়সেই দুইবার বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ এমবাপ্পের। এ নিয়ে বিশ্বকাপে ষষ্ঠবারের মতো ফাইনাল খেলছে আর্জেন্টিনা। বিশ্ব সেরার মঞ্চে সর্বোচ্চ ৮ বার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। ২ বার রানার্সআপ হয়েছে রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ১১ গোলের রেকর্ড এখন মেসির। ফাইনালে একটি গোল করলেই সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলের পাশে বসবেন তিনি। ফ্রান্স বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলছে চতুর্থবারের মতো। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে নেমেই শিরোপা ঘরে তোলে তারা ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে। পরে ২০০৬ সালের ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফরাসিরা। নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা জেতে দলটি গত আসরে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে। কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে ৫ গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে। ছাড়িয়ে গেছেন ২০১৮ আসরে ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের পথে করা নিজের ৪ গোল। বিশ্বকাপে ১৩ ম্যাচ খেলে ২৩ বছর বয়সী এমবাপের গোল মোট ৯টি। ২০০২ সালে ব্রাজিলের পর প্রথম দল হিসেবে টানা দুটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে ফ্রান্স। ইতিহাসের তৃতীয় দল হিসেবে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি দলটির সামনে। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ইতালি এবং ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্রাজিল পরপর দুইবার শিরোপা জিতেছিল। বিশ্বকাপের মঞ্চে এখন পর্যন্ত ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছে তিন বার। যার দুইটিতে জয় আর্জেন্টিনার। বাকি একটি ম্যাচ জিতেছে ফরাসিরা। সেটাও গত রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে। জমজমাট সেই লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে হেরেছিল লিওনেল মেসির দল। আলবেসেলিস্তাদের হারিয়ে সেবারের আসরে শিরোপা জিতেছিল ফ্রান্স। তাই এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেয়ার দারুণ সুযোগ স্ক্যালোনির দলের সামনে। উলেখ্য, ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসরে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়। যেখানে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে ফ্রান্সকে পরাজিত করে। এরপর থেকে ফাইনালের আগ পর্যন্ত মোট ১২টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। যেখানে আর্জেন্টিনার জয় ৬টি আর ফ্রান্সের জয় ৩টিতে। ড্র হয়েছে ৩টি ম্যাচ।