‘তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিলুর রহমান চৌধুরী। প্রধান অতিথি বলেন, তথ্য অধিকার আইনের সত্যিকার সুফল পেতে হলে আলোকিত মানুষ হতে হবে। জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য দুর্নীতি দূর করতে হবে। তাই তথ্যকে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। তথ্য অধিকার আইন জনগণের কল্যাণে প্রণীত। যারা সেবা নেবেন এবং যারা সেবা প্রদান করবেন দু’পক্ষকেই সচেতন হতে হবে। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আরটিআই, ইনোভেশন, সিটিজেন চার্টার, জিআরএস, এনআইএস এবং ওয়েবপোর্টাল এই ছয়টি টুল্স সকল সরকারি দপ্তরে কার্যকর করতে পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্য দেয়া প্রয়োজন। তথ্য অধিকার বাস্তবায়নে সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি সুশীল সমাজ, জনগণ ও গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। তথ্যের অবাধ, সঠিক ও সময়োচিত প্রকাশ একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে অন্যদিকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, যা জনগণ ও রাষ্ট্রের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করবে। খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ আব্দুর রশিদ, পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুব হাসান ও সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা সনাকের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোঃ আব্দুলাহ আল মামুন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, সমাজসেবা দপ্তরের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।-তথ্য বিবরণী