রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর দেবহাটা বিএনপির সদস্য নবায়ন উদ্বোধনী আয়োজনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ মুন্সীগঞ্জে তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শ্রীউলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ভাড়াশিমলায় ২৫০ প্রান্তিক কৃষানের মধ্যে সবজির বীজ বিতরণ খুলনার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গ্রেফতার বসন্তপুর ফকিরপাড়া জামে মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল

আপনার শিশুর নিরাপত্তায় চোখে চোখে রাখুন ঃ আগুন পানি সহ বিপদজনক বিষয়ে জানান

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ মে, ২০২৩

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ শিশুরা সর্বদা কৌতুহলী অনুকরন ও অনুসরন প্রিয়। আর তাই মা বাবা বড়রা যে কাজ করেন শিশুরাও সেই কাজ করতে উদ্যত হয় এবং বিপদজনক পরিবেশে নিক্ষিপ্ত হয়। বিধায় আমাদের শিশুদেরকে মা বাবাকে প্রতিনিয়ত এবং প্রতিহুমুর্তে চোখের সামনে রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই একা ছাড়া বা রাখা যাবে না। দেশের আগামী দিনের কর্ণধর, পরিবারের মুখউজ্জ্বল করা সর্বপরী বাবা মায়ের নাড়ী ছেড়া ধন জীবন শুরুর পূর্বেই জীবন হারিয়ে চলেছে। দুরন্তপনা এবং নিজে করা, নিজেকে এগিয়ে নেওয়া শিশুর সহজাত প্রবৃত্তি এক্ষেত্রেই অনাকাঙ্খিত পরিবেশের আবত্তে পড়ে শিশু। শিশু সুরক্ষায় মা বাবাই অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। বিশেষ করে শিশুকে আগলিয়ে রাখার ক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা অদ্বিতীয়। যে পরিবারের এবং যে মা বাবার কোন শিশু মৃত্যুবরন করে সেই মা বাবাই কেবল জানেন সন্তান হারার শোক কতটুকু বেদনাদায়ক, মর্মান্তিক আর বিয়োগান্তুক। আমাদের শিশুরা অসময়ে, অকাতরে, জীবন শুরুর পূর্বেই জীবন হারাচ্ছে। প্রায় সময় পুকুরে, ঘেরে এবং নদীর পানিতে ডুবে শিশুর কারন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। অতি স¤প্রতি সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকাতে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শিশু মৃত্যুর সর্বাধিক স্থল পানি। আর তাই আমাদের শিশুদেরকে পানি হতে দুরে রাখতে হবে সেই সাথে শিশু যেন পানির সংস্পর্শে আসতে না পারে সে জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পুকুরের চারিপাশে বেড়া দিতে হবে। যেন শিশু কোন ভাবেই পুকুরে যেতে না পারে, পানির ট্যাঙ্কি বা হাউজের মুখ বন্ধ রাখতে হবে। বাথরুমের বাথটপ এবং পানি ভর্তি বালতি সর্বদা শিশুর নাগালের বাইরে রাখতে হবে। আগুন শিশুর জন্য চরম বিপদজনক মাধ্যম। চুলার আগুনে, গ্যাসের ও বিদ্যুতের প্রায় শিশুর মৃত্যুর ঘটনা কম নয়, বিধায় শিশু যেন আগুনের সংস্পর্শে যেতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শিশুর হাতে গ্যাস লাইট, ম্যাচ বা আগুন উৎপাদন হয় এমন কিছু দেওয়া যাবে না। রান্না ঘরের গরম পানি শিশুর জন্য আরেক ধরনের বিপদজনক, মায়ের সাথে শিশু রান্না ঘরে থাকা অবস্থায় অনেক সময় মায়ের চোখ এড়িয়ে শিশু গরম পানিতে হাত দিতে পারে বিধায় রান্না ঘরে অবস্থানকরা কালীন সময়েও শিশুর প্রতি মায়ের বিশেষ সার্বক্ষনিক নজরদারী রাখতে হবে। শিশুর খেলা ধুলা এবং চলাচলের উপর বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে, ঝোপঝাড়ে, বাগানেম, অপরিচ্ছন্ন স্থানে, পরাতন ঘরে, খেলাধুলা হতে, ুিুবরত রাখতে হবে। পুরুতান জরাজীর্ন ঘরে যেমন সাপের উপদ্রপ থাকে আবার জরাজীর্ন ঘর যে কোন সময়ে ভেঙ্গে পড়তে পারে। শিশুকে কোন ভাবেই মুখেরভিতর আসা যাওয়া করে এমন খেলনা দেওয়া যাবে না। পূতি, মার্বেল, কয়েন, বা ধারালো জাতীয় কোন খেলনা শিশুদের হাতে না দেওয়া, ব্লেড, ছুরি, চাকু, দাও, হাসুয়া, কাউচি জাতীয় অস্ত্র শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। বাথরুম ও রান্না ঘরের দরজা সর্বদা বন্ধ রাখা বাঞ্জনীয় বিদ্যুৎ, গ্যাস বা পানির লাইনের ধারে শিশুদের যেতে না দেওয়া জীবন রক্ষাকারী ঔষধ অনেক সময় শিশুর জীবন হানীর কারন হতে পারে এ কারনে সব ধরনের ঔষধ শিশুদের হাতের বাইরে রাখা উচিৎ। দুই হতে পাঁচ ছয় বছরের শিশুরা সর্বাত্মক বিপদজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিমত বেশীর ভাগ শিশু নয় মাস বয়স থেকে এক বছর এরকম সময়ে বস্তর অস্তিত্ব বুঝতে শেখে। দুই বছরের দিকে সাধারন শিশুরা হাটা শুরু করে, যখন তারা হাঁটা শেখে কোন কিছু ধরতে শেখে তখন কৌতুহল বৃদ্ধি পায়, যে সময় তারা পানিতে নামায় আগুনে হাত দেওয়া বিশাক্ত পানীয় বা ঔষধ পান করে না জেনে না বুঝে আর এভাবেই বিপদ আসে এমন কি মৃত্যুও ঘটে। ঘরের অভ্যন্তরে ও শিশু নানান ধরনের বিপদে পড়তে পারে উদাহরন হিসেবে বলা যায় টেবিলে উঠে লাভ দেওয়া চেয়ারে বসে উবুর হয়ে পড়া, টিভির ট্রলি ফেলে দিতে যে টিভিও টলি চাপা পড়া। এসকল বিষয়ে বাবা মাকে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় দেখাযায় শিশুরা চোর পুলিশ চোর ডাকাত মারামারি খেলে যা বিপদজনক। রশি দিয়ে নিচে নামতে যেয়ে পড়ে যাওয়া, কিশোররা পুকুরে দুরন্তপনা করে এসময় গাছ থেকে পুকুরে লাফিয়ে পড়ে পুকুরের বাশ কুঞ্চির হিসো আমলে না নিয়ে সাতার, ডুবোডুবি করে শরীরের সাথে অনেক সময় বাশ কুঞ্চি, বিদ্ধ হয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খেলার চলে গলায় ফাস দেওয়ার ঘটনাও অহরহ যে কারনে ঘরে কোন ধরনের রশি না রাখাই শ্রেয়। পুকুরের পানি কেবল শিশুর জন্য বিপদজনক নয় বাথরুমের বালতির পানি ও কম বিপদজনক নয় বিধায় শিশুকে একলা একলা বাথরুমে যেতে দেওয়া অনুচিৎ, মায়ের পিছে পিছে শিশু রান্নাঘরে, পুকুরে যেয়ে মায়ের অসতর্কতা ও অগচরে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা যথেষ্ট্য পরিমান বিদ্যমান। শিশুকে বিপদজচনক বিষয় গুলো জানান। আমার সন্তান আমার জগৎ, আমার সন্তান আমার নাড়িছেড়া ধন, সন্তান বাবা মায়ের অবলম্বন পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা কঠিন, শক্ত আর লোমহর্ষক বোঝা বাবা ময়ের সামনে সন্তানের মৃত্যু আর লাশ। অঘটন ঘটলেই সব শেষ তখন আর কিছু করার থাকে না আর তাই আমরা যেন আমাদের সন্তানদের আগলে রাখি, চোখের বাইরে যেতে না দিই। শিশু সন্তান চোখের আড়াল হওয়া মানে অজানা দূর্ঘটনা, প্রতিজন পিতামাতা যেন পাঁচ বছর বয়স হলেই তার সন্তানকে সাঁতার শেখায়, পানি, আগুন ছোপঝাড় শিশুর জন্য বিপদজনক তাই সতর্কতার শেষ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com