দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ আন্তর্জাতিক বিশ্বে যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ হিসেবে আফগানিস্থানের নাম বারবার আলোচিত। জাতিগত বিভেদ এবং বহু বিভক্ত দেশটিতে বর্তমান সময় তালেবানরা শাসন করছে। কয়েক দশক যাবৎ আফগানীস্থানে অভ্যন্তরে জাতিগতবিরোধ বিভাজনের মধ্যে তালেবানরা ক্ষমতা দখল করলে প্রথম পর্যায়ে তালেবান শাসন ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মোল্ল্যা ওমরের নেতৃত্বে আফগানিস্থানের সরকার পরিচালার সময় গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ানটেড ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে তালেবান সরকারের অভিযান পরিচালনার নির্দেশ এবং লাদেনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার আহবান জানালে তালেবান সরকার উক্ত আহবান প্রত্যাখান করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিযান চালিয়ে সরকারকে পতন ঘটায়। সেই থেকে তালেবানদের সংগ্রাম এবং আবারও ফেরে ক্ষমতায়। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত খবরা খবরে বলা হয়েছে আফগানিস্থানের তালেবান সরকার নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে নারীদের অধিকার খর্ব করতে চলেছে। দুই হাজার একুশ সালে পুনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর তালেবান সরকার নারীদের উচ্চ শিক্ষা বন্ধ ঘোষনা করা সহ অফিস আদালতে সরকারি চাকুরী ও বেসরকারি চাকুরীতে নিয়োজিতদেরকে চাকুরীচ্যুত করেন। বর্তমান দেশটিতে নারী শিক্ষাকে প্রাথমিক স্তুর পর্যন্ত পড়ালেখার বাধ্যবাধকতা ঘোষনা করেছে। তালেবান সরকার নারী শিক্ষাকে পিছিয়ে দিয়ে বিশ্বময় তথা বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনড়গুলোর সমালোচনা হলেও অর্থনীতিতে অভাবনীয় উন্নয়ন বিশ্বকে বিস্তিত করেছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই তাদের অর্থনৈতিক উন্থান উচ্চতায় পৌছাচ্ছে। বর্তমান হামাস এবং ইসরাইলি যুদ্ধের সময় গুলোতেও তালেবানরা কোন ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়েনি। যতই দিন যাচ্ছে ততোই দেশটিতে অর্থনীতির সুবাতাস বইছে।