এফএনএস বিদেশ : আফগানিস্তান সীমান্তে পৃথক হামলায় পাকিস্তানের কমপক্ষে আট সেনা নিহত হয়েছে। এ হামলায় একজন বেসামরিক লোকও প্রাণ হারান। গতকাল শনিবার একটি পুলিশ সূত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, উত্তর—পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ‘সশস্ত্র জঙ্গিদের’ বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অভিযানে সাত সেনা নিহত হয়েছে। একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালায়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই লড়াইয়ে সেনাবাহিনী যুদ্ধ হেলিকপ্টার মোতায়েন করে। আট তালেবান যোদ্ধা নিহত হয় এবং আরও ছয় সৈন্য আহত হয়। পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন আলী এএফপিকে জানিয়েছেন, অপর এক ঘটনায় বেলুচিস্তানের আরও দক্ষিণে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মোটরবাইকে রাখা বোমার বিস্ফোরণে একজন সৈন্য এবং একজন বেসামরিক লোক নিহত হয়। গত মাসে এই অঞ্চলটিতেই আলোচিত ট্রেন আক্রমণের দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। জঙ্গিরা শত শত যাত্রীকে জিম্মি করে এবং কয়েক ডজন ‘অফ—ডিউটি’ সৈন্যকে হত্যা করে। পৃথক আরেক ঘটনায় গোয়াদর জেলার মধ্য দিয়ে একটি সামরিক গাড়ি যাওয়ার সময় বিস্ফোরণে তিন সেনা এবং একজন বেসামরিক লোকও আহত হয়। অঞ্চলটিতে উল্লেখযোগ্য চীনা অবকাঠামো রয়েছে। এএফপির এক পরিসংখ্যান অনুসারে, বছরের শুরু থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় ১৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তেহরিক—ই—তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) নামে পরিচিত পাকিস্তানি তালেবানরা মার্চের মাঝামাঝি সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বসন্ত অভিযান’ ঘোষণা করেছিল। ইসলামাবাদ—ভিত্তিক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের মতে, গত বছরটি পাকিস্তানে প্রায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বছর ছিল, যেখানে হামলায় ১,৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। যদিও পাকিস্তানে এই সহিংসতা মূলত আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সীমাবদ্ধ।