বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরা যাত্রী ও পন্য পরিবহন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় এনএস আইয়ের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সুলতানপুর বড় বাজারে অভিযান ॥ ১৯৯ বস্তা চিনি জব্দ সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলামের রষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন জাতিসংঘের যুদ্ধ বিরতি মানছে না ইসরাইল সাতক্ষীরার ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ভিড় অসহায় পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ কপিলমুনিতে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলামের গণসংযোগ কলারোয়ায় বসতভিটা দখল ও গাছ-গাছালি কাটার প্রতিবাদ করায় বাড়িঘর ভাংচুরসহ মারপিট করার অভিযোগে কয়রায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

আবহাওয়া পরিবর্তনে শিশুর ঠান্ডা জ¦র, করনীয় কী?

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

এফএনএস স্বাস্থ্যপাতা: দিনে গরম রাতে শীত-মিশ্র আবহাওয়ার এই সময়টা শিশুদের জন্য একটু বিপজ্জনক। শিশুদের ত্বক অনেক সংবেদনশীল হয়। এমন আবহাওয়ার সঙ্গে তারা মানিয়ে নিতে পারে না। দিনের গরমে শিশুরা ঘেমে যায়। ঘর্মাক্ত জামা বড়দের খেয়াল না হলে শিশুর গায়েই শুকিয়ে যায়। এটাও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দুপুরের গরমে গোসলে আরাম লাগে। এ সময় শিশুরা দীর্ঘক্ষণ গোসল করতে পছন্দ করে। রাতের শুরুর দিকে গরম। শেষ ভাগে শীত পড়ে। সকালে উঠে কুয়াশার মধ্য দিয়ে অনেক শিশুকে স্কুলে যেতে হয়। এজন্য এখনকার আবহাওয়ায় ছোটদের ঠান্ডা ও জ¦রে বেশি ভুগতে দেখা যায়। এ জন্যই এখন জ¦র, কাশি, ঠান্ডায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। এই সময়ের বেশির ভাগ জ¦রই ভাইরাসজনিত। নানা ধরনের ভাইরাসের কারণে জ¦র হতে পারে। সব ভাইরাস জ¦রের লক্ষণ এক নয়। ভাইরাস জ¦রে শিশুদের সাধারণত সর্দি-কাশি, গলা, মাথা ও শরীরে ব্যথা করে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টায় প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় বলে একে সিজনাল ফ্লু বলা হয়। এ সময় শিশুর সুরক্ষায় দরকার অভিভাবকদের সচেতনতা। শিশুরা সারাক্ষণ দৌড়াদৌড়ি ও ছোটাছুটির মধ্যে থাকে। এর ফলে তাদের শরীরে গরমে ঘাম বেশি হয়। এজন্য এখন শিশুদের সব সময় হালকা সুতির কাপড় পরাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে শিশুর পোশাক যেন আঁটসাঁট না হয়। ঢিলেঢালা পোশাক পরাতে হবে, যাতে বাতাস ঢুকতে পারে। এতে শিশুদের ঘাম কম হবে। শিশুরা ঘেমে গেলে দ্রুত পোশাক বদলে ঘাম মুছে দিতে হবে। শিশুরা বাইরে থেকে ফিরে গোসল করতে চাইলে তৎক্ষণাৎ গোসল করতে দেওয়া যাবে না। আগে শরীর ঠান্ডা হতে দিতে হবে। ফ্যানের নিচে কিছুক্ষণ বসে গা জুড়াতে হবে। শিশুর শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরলে এরপর গোসল করাতে হবে। গরমের সময় গোসলে নিয়মিত সাবান ব্যবহার করতে হবে। গোসল শেষে খুব ভালো করে গা-মাথা ও চুল মুছে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন চুলের গোড়ায় পানি না থাকে। শিশুরা গরমে কাতর হলে আইসক্রিম বা কোল্ড ড্রিংকস খেতে বায়না করে। গরমের সময় আইসক্রিম বা কোল্ড ডিংকস খেতে ভালো লাগলেও আদতে তাতে উপকার নেই। আবার বাসায় ফিরে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি পান করে। এটা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। গরম থেকে এসেই বেশি ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। এতে গরম ও ঠান্ডা তাপমাত্রার বেশি পার্থক্যের কারণে শিশুদের ঠান্ডায় ভুগতে হতে পারে। বাইরে থেকে ফিরলে শিশুকে হাত ধুয়ে দিতে হবে। শিশুর মধ্যে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যাতে শিশুকে জীবাণু আক্রমণ করতে না পারে। গরমে শিশুদের শরীর ঘেমে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এতে পানিশূন্যতায় পড়ে। পানিশূন্যতা রোধে শিশুকে এ সময় ডাবের পানি, তাজা ফলের জুস ও বেশি বেশি তরলজাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় ফলমূল এ সময় বেশ উপকারী। বিশেষ করে লেবু পানির শরবত পান করানো যেতে পারে। দুগ্ধপোষ্য শিশুদের ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ঠান্ডায় শিশুর নাক বন্ধ থাকলে নরসল দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে। জ¦র-ঠান্ডায় শিশুর হাঁচি হাতে লাগলে তখনই সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সাধারণ জ¦র হলে শিশুকে বিশ্রামে রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়াতে হবে। কুসুম গরম পানিতে গামছা ভিজিয়ে গা-মাথা মুছে দিলে আরাম পাবে। জ¦রে ঠান্ডা পানি, বরফ পানি বা মাথায় ক্রমাগত পানি ঢালার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে ঘরের ফ্যান ছেড়ে রাখতে পারেন। জ¦রের শিশুকে খাবার খাওয়াতে জোর করা যাবে না। এতে বমি হতে পারে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে হওয়া শিশুদের ঠান্ডা জ¦র সাধারণত কয়েক দিনেই সেরে যায়। এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। তবে জ¦রের তীব্রতা বৃদ্ধি, তিন দিনের বেশি থাকা, খাবারে অনীহা হলে শিশুকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। এখন ডেঙ্গুর সময়। তাই জ¦র হলে অবহেলা করা যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com