ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে ২০২৪ অনূর্ধ্ব—১৯ এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয় বারের মতো এশিয়া কাপ শিরোপা জিতল জুনিয়র টাইগাররা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৯ রানের টার্গেট টপকাতে নেমে ১৩৯ করতেই শেষ ভারত। টানা দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব—১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। দুই বারই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সৌভাগ্য হল। গত আসরের ফাইনালে বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়েছিল। এবার বাংলাদেশের সামনে ছিল ভারত। ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জয়ের মিশনে যুবা টাইগাররা পাত্তা দেয়নি ভারতকেও। এর আগে দুবাইয়ের ফাইনালে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় অধিনায়ক। বাংলাদেশকে তারা গুটিয়ে দেয় ১৯৮ রানে। সহজ লক্ষ্য পেয়েও রান করতে ব্যর্থ হন ভারতীয় ব্যাটাররা। ৩৫.২ ওভার খেলে রান করতে পারে কেবল ১৩৯। দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রম্ন এনে দেন আল ফাহাদ। আয়ুষ মাত্রে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান কেবল ১ রানে। আরেক ওপেনার ভৈবভ সুরিয়াবংশী ব্যক্তিগত ৯ রান ক্যাচ তুলেন মারুফ মৃধার ডেলিভারিতে। তিনে নামা আন্দ্রে সিদ্ধার্থর ব্যাট থেকে অবশ্য ২০ রান আসে। এরপর কেপি কার্তিকেয়া ও অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান মিলে দলকে স্বস্তি এনে দেন। যা অবশ্য স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। ইনিংসের ২১তম ওভারে বল হাতে অ্যাকশনে এসে পেসার ইকবাল হোসেন ইমনের বাজিমাত। ১ রান খরচায় তুলে নেন ভারতের জোড়া উইকেট। কেপি কার্তিকেয়া, নিখিল কুমারকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি ইমন। নিজের পরের ওভার করতে এসে উইকেটকিপার ব্যাটার হরবংশ পাঙালিয়াও বিদায় করেন। ইকবাল ইমনের পেস তোপে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করে বসে ভারতের মিডল অর্ডার। ৩ উইকেটে ৭৩ রান থেকে ৮১ পর্যন্ত যেতে হারায় আরও ৩ উইকেট। দলীয় ৯২ রানে আরও এক উইকেট হারায় ভারত। কিরণ চোরমলেকে ফিরিয়ে উইকেট সংখ্যা ডাবল করে নেন আল ফাহাদ। সর্বোচ্চ ২৬ রান করা মোহাম্মদ আমান বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়কের বলে। ২১ বলে ২৪ রানে থাকা হার্দিক রাজের উইকেটও দখলে নেন আজিজুল হাকিম তামিম। শেষ ব্যাটার চেতন শর্মার উইকেটও শিকার করেন তামিম। ভারতের ইনিংস থামে ১৩৯ রানে। ৫৯ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে বাংলাদেশের নিশ্চিত হল টানা দ্বিতীয় শিরোপা।