এফএনএস বিদেশ : দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও সমালোচনার মুখে কানাডার প্রধানমন্ত্রীত্ব ও ক্ষমতাসীন দলের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রম্নডো। আর এর কয়েক ঘণ্টা পরেই কানাডাকে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (নির্বাচিত) ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের বিপরীতে কানাডার পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সময় সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রম্নথ সোশ্যালে দেওয়া একটি পোস্টে নিজের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, কানাডার অনেক বাসিন্দাই আমাদের ৫১তম রাজ্য হতে পছন্দ করে। দেশটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশাল ভর্তুকির চাপ যুক্তরাষ্ট্র মেনে নেবে না। আর জাস্টিন ট্রম্নডো এটা জানতেন বলেই পদত্যাগ করেছেন। তিনি আরও বলেন, যদি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে সেখানে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর অনেকটাই কমে যাবে। সেই সঙ্গে তারা রুশ ও চীনা জাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ থাকবে। কানাডা—যুক্তরাষ্ট্র এক, কী অসাধারণ দেশ হবে এটি! গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কানাডাকে দেশটির ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার পরামর্শ দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রম্নডোকে তার গভর্নর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে কানাডার দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ মাদক ও অভিবাসীদের প্রবেশ বন্ধ করতে না পারলে অটোয়াকে আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন ট্রাম্প। গত ১৮ ডিসেম্বর নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রম্নথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, কেউ উত্তর দিতে পারে না যে, কেন আমরা কানাডাকে বছরে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি ভর্তুকি দিই। অনেক কানাডিয়ান চান কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাক। এটি কর ও সামরিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে অনেক খরচ বাঁচাবে। আমি মনে করি এটি একটি দারুণ ধারণা। এদিকে, বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডও কিনে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি এ আকাঙক্ষা ব্যক্ত করার পর কড়া জবাব দেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউটে এগেডে।
সূত্র: দ্য হিল