দৃষ্টিপাত রিপোর্ট: ঘুণিঝড় রিমেলের প্রভাবে আবহাওয়া সহনীয় পর্যায়ে আসে, প্রকৃতিতে কিছুটা শীতল ভাবের উন্মেষ ঘটে,জনজীবনে কিছ্টুা স্বস্তির প্রভাব দেখা মেলে কিন্তু সেই সুখর আর সুসময় খুব বেশিদিন উপস্থিত ছিল না। গ্রীস্মের তাপদাহের প্রভাব এবং লূ-হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে প্রান্তরে প্রান্তরে। গত কয়েক দিন যাবৎ তাপদাহের ভয়াবহতা ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা। কোথাও স্বস্তি নেই। সামনে ঈদুল আযহা কাজকর্ম, ব্যবসা বানিজ্য যথাযথ ভাবে সম্পাদনা করলে আর্থিক ক্ষতির বিকল্প নেই। গতকাল সাতক্ষীরা শহরের ব্যস্ততম চিত্রের ধারাবাহিকতা দেখা গেছে অনুপস্থিত। বিপনী বিতানগুলোতে ঈদ কেনাকটার আবহ নেই। ট্রাফিক পুলিশের অতি ব্যস্ততা যেমন নেই অনুুরুপ ভাবে প্রখর রৌদ্রে ট্রাফিক পুলিশরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ঘাম ঝরিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। শহরের সংযোগ সড়ক গুলোতেও তেমন যানবাহনের চলাচল নেই তিব্র তাপদাহের কল্যানে চাষাবাদে ব্যাপক ভিত্তিক অস্বস্থিকর পরিবেশের সষ্টি হয়েছে। উঠতি আমধান কাটা মাড়াই করা শেষ পর্যায়ে থাকলে ধান সিদ্ধ ও শুকাতে অসহনীয় রোদ্র তাপ আর প্রখর সূর্যৈর খরতাপ সর্য্য করতে হচ্ছে কৃষক ও কৃষাণীর। চিংড়ী শিল্পের উৎপাদনের চরম প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছে তাপদাহ। চিংড়ী চাষীরা জানাচ্ছে গত দুই মাসের অধিক সময় পর্যন্ত তাপদাহের কারনে ঘেরে চিংড়ী যেমন বৃদ্ধি ঘটছে না অনুরুপ ভাবে অতি গরমে কোন কোন ঘেরে চিংড়ীর মড়ক দেখা যাচ্ছে এমনিতেই ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে দেশের উপকুলীয় জেলা গুলোর চিংড়ী উৎপাদনে ছন্দ পতন ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড় হাজার হাজার চিংড়ী ঘেরের চিংড়ী ভেসে গেছে। বর্তমানে তাপদাহের জন্য আরেকধাপ চিংড়ী উৎপাদনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দৃশ্যতঃ তাপদাহ এতটুকু বিস্তৃত ঘটেছে, ছড়িয়ে পড়েছে যে, জনজীবন ও প্রাণিকুল টিকে থাকবার লড়াইয়ে প্রানন্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখানেই শেষ নয় কৃষি, সবজি, চিংড়ী,সাদা প্রজাতির মাছ চাষেও সর্বনশার পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে। তাপদাহের তীব্রতার কারনে বিনা প্রয়োজনের জনসধারন ঘরের বাইরে যাচ্ছে না অবশ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও অতি তাপে ঘরেরর বাইরে না যেতে পরামর্শ দিয়েছেন আর রৌদ্রে ঘরের বাইরে গেলেও ছাতাকে সঙ্গী হিসেবে রাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অতিগরমের কল্যানে শিশু ও বৃদ্ধদেরজন্য অভিশাপ বয়ে আনতে পারে যে কারনে শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া প্রায়োজন। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় তাপদাহের প্রভাবে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে ভইরাসজ্বর। অতি গরঘামের কারনে ছর্দি, কাশি এলার্জি, ডায়রিয়া, মাথা যন্ত্রনা দেখা যাচ্ছে অহরহ। হিটস্টোকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায়না। তাপদাহের কারনে সর্বাপেক্ষা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খাওয়া হত দরিদ্র মানুষেরা। প্রচন্ড তাপ আর রৌদ্রের কারনে মাঠে ঘাটে কাজ করতে পারছে না শ্রমজীবিরা। আর মাত্র কয়েকদিন পর ঈদুল আযহা, ক্ষুদ্র ও প্রান্তীক ব্যবসায়ীরা ব্যবসার পরসা সাজিয়ে বসলেও তাপদাহের কারনে বোঁচাকেনা নেই। ইলেকট্রিক ফ্যানের বিক্রি যেমন রেড়েছে অনুরুপ ভাবে সোলার ফ্যানের কদরও সমানতালে বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বত্র ভ্যাপসা গরম,দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম,এই অসহনীয় এবং অস্বস্থিকর পরিস্থিতি দেশ মরুকরনের কাছাকাছি এমনও তীর্যক এবং অনাকাঙ্খিত বক্তব্য কারোর কারোর, এই মুহুর্তে বৃষ্টিপাতই পারে জনজীবনে স্বস্তি আনায়ন করে।