এফএনএস স্পোর্টস: বিতর্ক আর সাকিব আল হাসান যেন একই সূত্রে গাঁথা। গতকাল মঙ্গলবার নতুন বিতর্কে জড়ালেন বাংলাদেশের পোস্টারবয়। ইনিংসের শুরুতেই ডাগআউটের বাইরে থেকে দুই ব্যাটারকে উঠে আসতে বলেন তিনি। তারা না এলে নিজেই ঢুকে পড়েন মাঠে, আম্পায়ারদের সঙ্গে জড়ান বিতর্কে। প্রায় ৫ মিনিটের মতো খেলাও ছিল বন্ধ। শেষমেশ সাকিবকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত স্ট্রাইক নিয়ে। ১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ফরচুন বরিশালের দুই ওপেনার চতুরাঙা ডি সিলভা ও এনামুল হক বিজয় তখন মাঠে। নিয়ম অনুযায়ী বোলার ঠিক হওয়ার পর ব্যাটাররা স্ট্রাইট নিয়ে থাকেন। কিন্তু রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচে উল্টো ঘটনা ঘটেছে। ইনিংসের প্রথম ওভারে রংপুর রাইডার্সের বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান বল হাতে তৈরি ছিলেন। কিন্তু স্ট্রাইকে চাতুরাঙা ডি সিলভাকে দেখে অধিনায়ক সোহান বল তুলে দেন অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসানের হাতে। এটা দেখে স্ট্রাইক পরিবর্তন করে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে চলে যান চাতুরাঙা। ওই মুহূর্তে আবার রাকিবুলের হাতে বল তুলে দেন সোহান। মাঠের বাইরে থেকে সাকিব আল হাসান বিষয়টি দেখে আপত্তি তোলেন। ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে প্রথমে বাউন্ডারি রোপের সামনে দাঁড়ান সাকিব। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ব্যাটারদের ইশারায় ড্রেসিংরুমে ফেরার আহŸান জানিয়েছিলেন। তখন সাকিবের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান চতুর্থ আম্পায়ার মোজাহিদুজ্জামান। আম্পায়ারকেও বোঝানোর চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু তাতেও শান্ত দেখাচ্ছিল না বরিশালের অধিনায়ককে। দুই ব্যাটারকে উইকেট থেকে সরে আসার আহŸান জানাচ্ছিলেন তিনি। এরপর কাউকে তোয়াক্কা না করে সাকিব নিজেই ঢুকে পড়েন মাঠে। সরাসরি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও রাভেন্দ্র উইমালসারির সঙ্গে কথা বলেন। তাকে সে সময়ে খুব উত্তেজিতই দেখা যায়। খেলা চলাকালীন মাঠে ঢুকে সাকিব প্রায় ৫ মিনিট খেলা থামিয়ে রাখেন। সেখানে রংপুরের খেলোয়াড়রা জটলা পাকিয়ে ছিলেন। অধিনায়ক সোহানের সঙ্গেও সাকিবকে কথা বলতে দেখা যায়। পরবর্তীতে দুই আম্পায়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ব্যাপারে বরিশালের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন সাকিবের মাঠে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলার বল করবেন তা ঠিক হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা কে স্ট্রাইক নেবেন তা ঠিক হয়। এ ক্ষেত্রে শেখ মেহেদীকে বল করতে আসতে দেখে চতুরাঙা ডি সিলভার বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। এই নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।’