দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ আবারও হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে অবস্থানরত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও বৃটেনের জাহাজে হামলা চালিয়েছে। হুতি যোদ্ধাদের কবল থেকে পশ্চিমা জাহাজ গুলোকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করনের লক্ষে গত তিন মাসের অধিক সময় যাবৎ মার্কিন ও বৃটিশ যুদ্ধ জাহাজ লোহিত সাগরে অবস্থান নিয়েছিল। ইতিপূবে হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে মার্কিন ও বৃটিশ জাহাজে হামলা পরিচালনা করলেও এই প্রথম হুতিরা প্রভাবশালী ও শক্তিধর দেশ দু’টির যুদ্ধ জাহাজে হামলা পরিচালনা করলো। হুতিদের সাফকথা ইসরাইলি যতদিন গাজায়ড হামলা চালিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করবে ততোদিন পর্যন্ত হুতি যোদ্ধারা লোহিত ও ভূ-মধ্যসাগরে চলাচল করা ইসরাইল সহ ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা অব্যাহত থাকবে, যার ধারাবাহিকতায় হুতি যোদ্ধাদের হামলা চলচে তো চলছেই। এখানেই শেষ নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের নেতৃত্বাধীন দশ দেশের জোট সাগরকে নিরাপদ করনে একাধিকবার হুতি অবস্থানে হামলা পরিচালনা করলেও হুতিদেরকে নির্মূল বা নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি, হুতিরা আধুনিক অস্ত্রে সুসংহত এবং তাদের সংরক্ষে অত্যাধুনিক অস্ত্রের মওজুদ দৃশ্যতঃ হুতিদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলা প্রতিহত করার সক্ষমতা দিয়েছে। এদিকে গতকালও ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজার বিভিন্ন এলাকাতে ব্যাপক ভাবে বিমান হামলা ও স্থল হামলা পরিচালনা করেছে। উত্তরাঞ্চল ইসরাইলি হামলায় দৃশ্যতঃ র্শ্বশ্মানে পরিনত হয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গত দুই তিন দিন যাবৎ পশ্চিম তীরেও বিমান হামলা শুরু করেছে। দৃশ্যতঃ পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে কেবল ফিলিস্তিনিদের নয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে ও ব্যাপক ভিত্তিক বিধি নিষেধ থাকলেও দখলদার ইসরাইল তাদের বসতি স্থাপন চেষ্টা করে বর্তমান সময়ে পশ্চিমতীরে সামান্য সংখ্যক ইহুদী বসতির অস্তিত্ব পরিলক্ষীত হয়। পশ্চিমাঞ্চলে বিমান হামলা পরিচালনা করায় সাধারন ফিলিস্তিনিদের মাঝেও উত্তেজনা ও হতাশা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য পশ্চিম তীর হামাস অধ্যুষিত নয় যে কারনে ধারনা করা হয়েছিল পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা বিমান হামলা পরিচালনা করবেনা। খান ইউনিসে যেন যুদ্ধ থামছে না, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের মুল লক্ষ খান ইউনিসের নিয়ন্ত্রন গহন করা পক্ষান্তরে হামাস যোদ্ধারা কোন অবস্থাতেই খান ইউনিসের নিয়ন্ত্রন ছাড়তে নারাজ, সাম্প্রতিক সময় গুলোতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা একমাত্র খান ইউনিসেই প্রতিপক্ষ হামাস দ্বারা চরম ভাবে প্রতিরোধের সম্মুখিন হচ্ছে। সপ্তাহ পূর্বে খান ইউনিসে হামাসের গ্রেনেট হামলায় এক সাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর চব্বিশ সেনার মর্মান্তিক মৃত্য ঘটেছে। এদিকে কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন আল জাজিরা জানিয়েছে কাতার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিশরের যৌথ মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হতে চলেছে। চলতি সপ্তাহেই যে কোন দিনে উক্ত যুদ্ধ বিরতির ঘোষনা আসতে পারে। ইসরাইলি সেনাা হাসপাতালের অভ্যন্তরে ঢুকে চিকিৎসারত ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করছে। গতকাল আল জাজিরা টেলিভিশন এসংক্রান্ত বিষয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গাজায় গতকালও ত্রান সহায়তা প্রবেশে বাঁধা প্রদান করেছে ইসরাইলি সেনারা। আর ইসরাইলি সেনাদের সাথে যোগ দিয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চরমপন্থী ইহুদীরা। গাজায় কেবল ক্ষুধার্থ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নয়, গাজা দৃশ্যতঃ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের দোর গোড়ায়। প্রতিদিনই গাজায় ক্ষুধার্থ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সাথে বাড়ছে অমানবিকতা এক কথায় গাজায় বিরাজ করছে মানবেতর পরিস্থিতি। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা গতকালও হামলা চালিয়েছে। এদিকে বন্দীদের মুক্ত না করার ব্যর্থতায় গতকালও ইসরাইলে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।