শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুছার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন ইসরাইল হামাসের বিশভাগ সক্ষমতা ও ধ্বংস করতে পারেনি শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক গনসচেতনামূলক মহড়া অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে অসহায় দুস্থ ও হতদরিদ্র নারী কর্মীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ ক্রেতা সাধারণ জিম্মি ব্যবসায়ীদের হাতে———– কপিলমুনিতে গলাকাটা দরে কেজিতে তরমুজ বিক্রয় বড়দলে উন্নয়ন প্রচেষ্টার উদ্যোগে সুরক্ষা সেবা প্রদান আশাশুনি তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির প্রার্থনা করে ইসতেসকার নামাজ আদায় আশাশুনিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজের রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন আশাশুনিতে বৃষ্টি জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায় পাটকেলঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

আমার রবীন্দ্রনাথ

শেখ মফিজুর রহমান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ
  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ মে, ২০২২

এই যে বসে আছি অকালের কালে মহাদুর্দিনে
প্রতি দিন কেউ না কেউ হারাচ্ছে প্রিয়জন,
ভাবছে তবে কি কোন সুখের দিন নেই
দুঃখ কষ্টের মাঝে নেই কোন আনন্দের ছটা?
কবি গুরু যেন কবিতার পাতায় ভর করে
সম্মুখে আসলেন, বললেন যেন-
‘‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহ দহন লাগে
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।”
এই লাইনগুলো পড়েই মনের মধ্যে কী এক
সান্তনার পরশ পাই, খুঁজে পাই মনের শান্তি।
এ যেন শান্তি নিকেতনে কবি গুরুর নিজেরই বানী-
‘‘তিনি আমার প্রাণের আরাম
মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি”….
কখন কীভাবে যেন আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে
রবীন্দ্রনাথ জড়িয়ে গেছে নিজেদেরই অজান্তে
গানে কবিতায়, ছন্দে-আনন্দে, সুখে-বিরহে
ছায়া হয়ে মায়া হয়ে কায়াহীন
রবীন্দ্রনাথ আছে জড়িয়ে।
মনে পড়ে সেই ছোট্ট বেলায় স্কুলের সমাবেশে দাঁড়িয়ে
গলা ছেড়ে গাওয়া প্রাণ ছোঁয়া জাতীয় সংগীত-
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’
অর্থ বুঝে গেয়েছি কজন?
কিন্তু ভালবাসা ঠিকই ছিল শতভাগ।
এখানেই সফল ভালোবাসার রবীন্দ্রনাথ।
জীবনের যৌবনে কত রঙ এসেছে রাঙাতে
ফাগুনের শিমুল বন রাঙাতে চেয়েছে এই মন
কিন্তু মনের আর্গল ভেঙ্গে আসেনি কোন ভাষা
কবিগুরু তুমিই এসেছো কচি প্রাণে ভালোবাসা নিয়ে
মনের অন্দরে বলেছে যেন-
“আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ
চুনি উঠলো রাঙা হয়ে।
আমি চোখ মেললুম আকাশে-
জ্বলে উঠলাে আলো পুবে-পশ্চিমে।
গোলাপের দিকে চেয়ে বললুম
‘‘সুন্দর — সুন্দর হল সে”।
কর্মজীবনে শত ব্যাথা, ব্যর্থতার ঘনঘটা
কে যে বন্ধু, কে শত্র“ কিছুই যায় না বোঝা
মাঝে মাঝে কী এক ক্লান্তি করে ভর।
মন চলে যেতে চায় কোন সুদূরে
কিন্তু থেমে যায়নি তারই কথায়-
“যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে,
সব সংগীত গেছে ইংগিতে থামিয়া,
যদিও সংগী নাহি অনন্ত অম্বরে,
যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া,
মহা আশংকা জপিছে মৌন মন্তরে,
দিক্ দিগন্ত অবগুণ্ঠণে ঢাকা-
তবু বিহঙ্গ, ওরে, বিহঙ্গ মাের,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ করো না পাখা ”।
হতাশায় পাখা না থামালেও
জীবনের গতি কমায়ে এই পাখা থামায়ে
চলে যেতে হবে একদিন।
শূন্য খেয়া ঘাটে কোন তরণী
আমার জন্য প্রতীক্ষায় থাকবে কি?
হয়তো থাকবে, হয়তো না।
আমি শুধু জানি—
” মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
এই সূর্য করে এই পুষ্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই।”

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com