এফএনএস : সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান শুক্রবার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল−াহি… রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। শুক্রবার তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম। খবর খালিজ টাইমস, বিবিসি ও এএফপির। ডব্লিউএএম জানায়, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে আমিরাতের প্রেসিডেন্সিয়াল এ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়। এক ঘোষণায় মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে আগামী ৪০ দিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এাছাড়া সব সরকারী ও বেসরকারী অফিস তিন দিন বন্ধ থাকবে। ২০০৪ সালে ৩ নবেম্বর আমিরাতের প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ানের মৃত্যুর পর তার ছেলে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। তার এক দশক পর ২০১৪ সালে তিনি স্ট্রোকের শিকার হন, তখন থেকেই তাকে জনসম্মুখে খুব বেশি দেখা যায়নি। এ সময় মূলত দেশ শাসন করে আসছিলেন তার সৎ ভাই শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান। শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির ১৬তম শাসক। প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে তার ভাই ও আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আমিরাতের ডি-ফ্যাক্টো শাসক হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তার উত্তরসূরির ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা দেয়া হয়নি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক : আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন পরীক্ষিত ও অকৃত্রিম বন্ধু হারাল। এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক : আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের মৃত্যুতে আজ শনিবার দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। এ উপলক্ষে দেশের সকল সরকারী, আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারী ও বেসরকারী ভবনে এবং বিদেশে বাংলাদেশী মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। আমিরাতের প্রেসিডেন্টের রুহের মাগফিরাত কামনায় দেশের সকল মসজিদে দোয়া এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োাজন করা হয়েছে। এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।