এফএনএস: বৃষ্টি বেড়েছে, তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কমেছে। গতকাল রোববারও বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থেকে তাপমাত্রা আর কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত কয়েক দিন বৃষ্টিহীন থাকলেও হঠাৎ করেই উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি অনেক বেড়ে গেছে। রংপুরে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার ভোর ৬টা থেকে গতকাল রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রংপুরে। এ ছাড়া রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে ৬৩, সৈয়দপুরে ৪৩, তেঁতুলিয়ায় ২৫, ডিমলায় ৩৭ ও রাজারহাটে ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সিলেটে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ছিলো চট্টগ্রাম, বরিশাল বিভাগেও। তবে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ ছিলো প্রায় বৃষ্টিহীন। গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। গতকাল রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে, ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার থেকে আকাশ মেঘলা থাকায় ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি থেকে কমে হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার সকাল থেকেও ঢাকার আকাশ মেঘলা, বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে। তবে বৃষ্টির পর আবার মেঘ সরে দেখা দিচ্ছে সূর্য। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, গতকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।