এফএনএস: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বারবার চিঠি দিয়েও এই বিষয়ে অগ্রগতির তথ্য জানায়নি আইন মন্ত্রণালয়। এজন্য ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি জানাতে ‘শেষবারের মতো’ চিঠি দিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। ইসির উপসচিব মো. আবদুল হালিম খান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি গতকাল রোববার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়। ইসি সূত্রে জানা গেছে, আরপিওর বেশ কিছু সংশোধন বা সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে এ-সংক্রান্ত খসড়া বিল প্রস্তুত করে গত ৮ আগস্ট আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়। দীর্ঘ সময় পার হলেও পাঠানো বিলের বিষয়ে ইসিকে অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়নি। ফলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১০ অক্টোবর লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগকে জরুরি চিঠি দিয়ে অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। তা সত্বেও এ পর্যন্ত ওই খসড়া বিলের অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়নি। গতকালকের চিঠিতেও এসব তথ্য উলেখ করে বলা হয়েছে, ‘আরপিওর সংশোধন সংক্রান্ত খসড়া বিলের অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অবগত করার জন্য শেষবারের মত বিশেষভাবে সনির্বন্ধ অনুরোধ করা হচ্ছে।’ চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান মতে, দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।’ আরও বলা হয়, ‘আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর লেজেসটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ রাষ্ট্র ও সরকারের নির্বাহী বিভাগের একাংশ। দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা এর সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব।’ চিঠিতে বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করে, সংবিধান ও আইনের সুষ্পষ্ট বিধানের ব্যত্যয়ে কমিশনের যাচিত অনুরোধ ও চাহিদা উপেক্ষিত হলে কমিশন স্বীয় দায়িত্ব পালনে আবশ্যক সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে না। এতে নির্বাচন বিষয়ে কমিশনের সক্ষমতা, স্বাধীনতা এবং সরকারের সদিচ্ছা প্রশ্নে জনমনে অনাকাঙ্খিত সংশয়ের উদ্রেক হতে পারে।’