দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সাথে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন অংমে হামাস যোদ্ধাদের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। রোজার শুরুতে দখলদার বাহিনী গাজার বিভিন্ন এলাকাতে হামলার তীব্রতা মেযন বৃদ্ধি করেছে অনুরুপ ভাবে হামাস যোদ্ধারাও প্রতিরোধ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে হামলায়য় হামাস সদস্যরা যতনা বেশী কাবু হচ্ছে সে অপেক্ষা খাদ্যহীনতা হামাস যোদ্ধাদেরকে কষ্টে রেখেছে। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে ইসরাইল সেনারা পুনরায় খান ইউনিসে অভিযান পরিচালনা করছে গাজার বিখ্যাত হাসপাতাল আল সিফা খান ইউনিসে অবস্থিত। গত তিন/চারদিন ব্যাপী দখলদার ইসরাইিিল বাহিনীর সদস্যরা খান ইউনিসের আল সিফা হাসপাতালে ব্যাপক ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করছে। হাসপাতালটিতে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদেরকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। ভর্তি হওয়া রোগীদেরকে হামাস সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার করছে। আল সিফা হাসপাতাল হতে হামাস সদস্যদের গ্রেফতারের বিষয়ে জানিয়েছে দখলদার বাহিনী। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হামলা পরিচালনার প্রথম দিকে একাধিকবার খান ইউনিসের আল সিফায় হাসপাতালে বিমান হামলা পরিচালনা করে এবং দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ঘোষনা প্রদানকরে যে, আল সিফা হাসপাতালে হামাস সদস্যদের ঘাঁটি এবং হাসপাতাল কমপ্লেক্স এর অভ্যন্তরে সুড়ঙ্গে। হামাস বার বার ইসরাইলের দাবীকে অস্বীকার করে চলেছে এবং বলেছে দখলদার বাহিনী ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার লক্ষেই দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আলসিফা হাসপাতালে বিমান হামলা চালাচ্ছে। গাজার অন্যতম সমৃদ্ধশালী নগরী হিসেবে পরিচিত আল সাফা শহরে গতকালও ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা পরিচালনা করছে। আল সাফা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাতে অধিবাসিরা দৃশ্যঃ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। শহরটির আশাপাশের এলাকাগুলোতে ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা এমন ভাবে অবস্থান নিয়েছে যে মিশর সীমান্ত দিয়ে রাফা শহরে কোন ধরনের খাদ্যবাহী প্রবেশ করতে পারছে না। আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে পুরো রাফা শহর দৃশ্যতঃ আশ্রয় শিবিরে পরিনত হয়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী রাফা শহরের আশ্রয় শিবির গুলোতে ব্যাপক ভাবে বিমান হামলা পরিচালনা করছে। এদিকে আল জাজিরা সহ এএফপি ও রয়টার্স জানিয়েছে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যকার শান্তি আলোচনা অনেকদুর এগিয়েছে, সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে ইসরাইলি হামাসের প্রস্তাব এর বেশির ভাগ অংশ মেনে নিতে সম্মত হয়েছে। উল্লেখ্য হামাসের প্রথম শর্ত গাজা ভূ-খন্ড হতে ইসরাইলি সেনাদেরকে প্রত্যাহার করতে হবে। কোন অবস্থাতেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে নীরিহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করা যাবে না। ইসরাইলি ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করা যবে না। ইসরাইলের কারাগারে আটক সকল ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে। এতোদিনে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাসের এই সকল প্রস্তাবও শর্ত না মানায় এবং শর্ত মানতে অস্বীকার করায় যুদ্ধ বিরতী প্রস্তাব কার্যকর ভাবে অগ্রগামী হইনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্তনিরলস ভাবেই চাইছে গাজায় যুদ্ধ বিরতি আর এ জন্যই হয়ত দখলদার ইসরাইলি বাহিনী অনেকটা অগ্রগামী হয়েছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিমন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনটের আমন্ত্রনে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে প্রেসিডেন্টের সরকারী বাস ভবনে ইফতারি দাওয়াতের দীর্ঘদিনের প্রচলিত নিয়মের। অংশ হিসেবে এবারের রমজান মাসে রোজাদার মুসলিম নেতৃবৃন্দকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে (হোয়াইট হাউস) আমন্ত্রনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসন এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন। ইসরাইলের উপর্যপুরী বিমান হামলা ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মুসলিম নেতৃবৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে গতকাল ও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় শতাধীক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। আবারও ইফতারি নিতে আসা ফিলিস্তিনিরা বিমান হামলায় নিহত হলো। আল জাজিরা জানিয়েছে দখলদার ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে উনিত্রিশ রমজান সামগ্রী গ্রহণ করতে আসা ফিলিস্তিনিরা। এসময় আহত হয়েছে অন্তত আরও পঞ্চাশ জন, হামাসের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে তাদের হাতে পন বন্দীদের মধ্যে আরও এক ইসরাইলি নাগরিক নিহত হয়েছে। নিহত ইসরাইলি নাগরিকের নাম বেগিভ বুখাতাফের (৩৪)। হামাস দায়ী করেছে অব্যাহত ইসরাইলি হামলা ও খাদ্য অভাবে ইসরাইলি পণ বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।