মোস্তাফিজুর রহমান আশাশুনি থেকে \ আর কত জনদুর্ভোগ হলে আশাশুনির বুধহাটা টু উজিরপুর সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিবে কতৃপক্ষ! এমন বিশ্বয়কর প্রশ্ন এখন স্থানীয় এবং পথচারীদের মুখে মুখে। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা টু উজিরপুর সড়কটির পাইথালী বাজর থেকে কালিবাড়ি বাজার (চাম্পাফুল) পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩কিলোমিটার সড়কের অবস্থা এতটাই বিপদ জনক হয়ে উঠেছে যে সড়কটি ব্যবহারকারী পথচারী ও জনসাধারণের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্যস্ততম সড়কটির পাইথালী থেকে কালিবাড়ি বাজার পর্যন্ত সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই ভয়ংকর রুপ ধারণ করে থাকে। কার্পেটিং সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে ভারী যানবাহনের চাপে ডেবে গিয়ে এক থেকে দেড় ফুট গভীরতার বহু গর্তের সৃষ্টি হয়ে খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই খানা খন্দক গুলো পানিতে ভরে গিয়ে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকৃতিক যানবাহনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই যানবাহন উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় গাড়ি বিকল হয়ে পড়ার পাশাপাশি যাত্রীরা হচ্ছে শারীরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া বৃষ্টি পরে রাস্তার মাটি যখন নরম হয়ে পড়ে তখন ভারী যানবাহন চলাচলে চাকার চাপে ২ফুট গভীরতার গর্ত হওয়ার পাশাপাশি গর্তের সাথেই মাটি ১ফুট উচু হয়ে যায়। ব্যস্ততম এ কার্পেটিং সড়কের কিছু দুর পরপর ১থেকে ২ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়ে ছোট-বড় যে কোন যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার কার্পেটিং এ ব্যস্ততম সড়কের অধ্যেকের বেশি অংশের পিচ উঠে নিচের কাদা-মাটি পাশ্ববর্তী বাকি সড়কের উপরে উঠে যানবাহন চলাচলের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভারি যানবাহন গর্তে ডেবে গিয়ে বিকল হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়া জনদুর্ভোগ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তার করুন অবস্থার পরেও প্রতিদিন ছোট-বড় সহস্রাধীক যানবাহন চলাচলের কারনে দিন দিন রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ার পাশাপাশি জন সাধারণের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে দাড়িয়েছে। পাইথালী বাজার থেকে কালিবাড়িগামী রাস্তার পাইথালী কার্পেটিং রাস্তার সংযোগ স্থলের বেশ কিছু অংশ, হাফিজুল ইসলাম, নৈকাটি মোস্তাফিজুর রহমান, শফি মোড়ল, নৈকাটি ফুটবল ও নৈকাটি দক্ষিণ পাড়া কামরুল ইসলাম মোড়লের বাড়ি সংলগ্ন এবং শোভনালী ব্রীজের দক্ষিণ দিকে কালভার্টের পর থেকে বড় একাধিক স্থানে গর্ত দেখে মেনে নিতে কষ্ট হবে এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। প্রায়ই পাথর, বালু বা অন্য কোন পন্য বোঝাই ভারী যানবাহন আটকে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় ছোট-বড় বহু যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়। সড়কটির এ বিস্তর অংশের বেহাল দশার কারনে কোন যানবাহনই আসতে চায় এসব এলাকায়। আর আসলেও যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হয় দ্বিগুণ। সেখেত্রে ১০ মিনিটের রাস্তায় সময় লাগে আধা ঘন্টা ও কখনো কখনো তারও বেশি সময়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু জানান, কিছু দিন পূর্বে সৃষ্ঠ একাধিক গর্তে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে কিছু ইটের খোয়া ফেলেছিলেন যাহা ছিলো চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচিৎ হবে যত দ্রুত সম্ভব এ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম সড়কের মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ স্থান গুলো সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া। স্থানীয়দের বক্তব্য যেহেতু এ পথে চলাচলরত জনসাধারণ বা স্থানীয়দের ব্যবহারের জন্য বিকল্প কোন রাস্তা নেই সেহেতু স্থায়ী ভাবে সংস্কারে সময়ের দরকার বিষয়টি মাথায় রেখে এলাকা তথা সড়কটি ব্যবহারকারী যাত্রীদের মারাত্মক জন দূর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে জরুরী ভিত্তিতে সাময়িক সংস্কারে যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।