মানুষের সাথে গড়ে তুলেছে সখ্যতা
এম এম নুর আলম ॥ আশাশুনিতে দলছুট দুটি হনুমান গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কখনও গাছের ডালে, কখনও বিল্ডিংয়ের ছাদে আবার কখনও বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে হনুমান দুটি। হনুমান দুটি যখন যে স্থানে যাচ্ছে সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। কেউবা কলা, বিস্কুট, মিষ্টি, রুটিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তাদের খেতেও দিচ্ছে। হনুমান দুটি ঐসব খাদ্য দ্রব্য খেয়ে তাদের পেটের ক্ষুদা নিবারণ করে নিচ্ছে। এক কথায় এ হনুমান দুটির সাথে স্থানীয়দের ভালো সখ্যতা গড়ে উঠেছে। তবে আবার কেউ কেউ ঢিল মেরে হনুমান দুটিকে ভয় দেখাচ্ছে। এভাবে গত কয়েকদিন ধরে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ও কাদাকাটি ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ দলছুট হনুমান দুটি। গতকাল সকাল সাতটার দিকে হনুমান দুটি কাদাকাটি বাজারে আসলে বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা তাদেরকে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য খেতে দেয়। হনুমান দুটি খাবার গুলো খেয়ে একটা পাশে থাকা মেহগনি গাছের মগ ডালে উঠে বসে এবং অপরটি পাশে থাকা এক ভ্যান চালকের ভ্যানে যাত্রী সেজে বসে পড়ে। সেটি দেখার জন্য মুহুর্তের মধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ী, পথচারী, বিভিন্ন যানবাহন চালক, শিশুরাসহ অনেনেকই ভীড় জমায়। এসময় হনুমান দুটিকেও উৎসুক জনতার সাথে খুনসুটি করতে দেখা যায়। তারপর দলছুট হনুমান দুটিকে ঐ স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যেতে দেখা গেছে। এভাবে করে তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গত কয়েকদিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহল জানান, হনুমানটিকে উদ্ধার করার প্রয়োজন নাই। ‘যেহেতু হনুমান দুটি দলছুট হয়ে লোকালয়ে এসেছে। মানুষ তাদেরকে ভয়ভীতি না দেখালে স্বেচ্ছায় তারা তাদের গন্তব্যে চলে যাবে। তাদেরকে কেউ যেন বিরক্ত না করে এজন্য জনসচেতনতা মূলক প্রচার চালানো সহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে বলে তারা আরও জানান। উল্লেখ্য, প্রকৃতির বিরূপ পরিবর্তনের ফলে বন্য প্রাণীরা এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তাদের সংকট খাদ্যের। বন-জঙ্গলের পরিসর সীমিত হয়ে আসায় এসব প্রাণী খাদ্যের সন্ধানে চলে আসছে লোকালয়ে।