শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

আশাশুনিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারি শিশু গাছ গুলি এখন মরণ ফাঁদ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২

মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি থেকে \ আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পাশে কঙ্কাল সাদৃশ্য মরা শিশু গাছ গুলি একসময় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও গাছ গুলি মরে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মরা গাছের ডাল ভেঙ যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা এ সঙ্কায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পথচারী সহ উপজেলাবাসির দৈনন্দিন জীবন। ঝড়ো হাওয়া বা হালকা বাতাস শুরু হলে ছোট-বড় যে কোন যানবাহন বা পথচারিদের সড়কের পাশে মরা শিশু গাছের নিচে দিয়ে যেতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী কামারবাড়ি চার রাস্তার মোড় সংলগ্ন একাধিক কঙ্গাল সাদৃশ্য শিশু গাছের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ বৃহৎ আকৃতির একটি শিশু গাছের ডাল ভেঙে পড়তে দেখলে মটরসাইকেল ব্রেক করে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় আশাশুনি সরাকারি কলেজে প্রভাষক মোখলেছুর রহমান (ময়না)। ঘটনার বিবরন দিতে তিনি দৈনিক দৃষ্টিপাত-কে জানান, কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হঠাৎ মরা শিশু গাছের একটি বৃহৎ আকৃতির ডাল আমার মটরসাইকেলের ২/৩ মিটার দুরে ভেঙে পড়ে। এঘটনায় অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেন মহান রাব্বুল আলামিন। প্রভাষক মোখলেছুর রহমান আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যাস্ততম বহু সড়কের পাশে ছোট-বড় এধরনের বহু মরা শিশু গাছ দেখা যাচ্ছে। গাছ বা গাছের ডাল ভেঙে যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। দূর্ঘটনা এড়াতে যথা সময়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তার পাশে কঙ্কাল সাদৃশ্য মরা শিশু গাছ গুলি অপসারণের বিষয়ে দৈনিক দৃষ্টপাত পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এ মরা শিশু গাছ এলজিইডি ও সওজ এর আওতাধীন সড়কের পাশে হলেও এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এসকল গাছ নিয়ে তাদের কোন কর্মতৎপরতা চোখে পড়েনি। জানাগেছে, প্রতিনিয়ত এ মরা গাছের ডাল ভেঙে ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝড়ো হাওয়া শুরু হলেই অসংখ্য ডাল ভেঙে রাস্তার উপরে পড়ে হতাহতের ঘটনা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বুধহাটা টু উজিরপুর সড়ক, আশাশুনি সদরের আশাশুনি টু কালিবাড়ি, বড়দল ইউনিয়নের জামালনগর টু বড়দল সড়কের দুই পাশে বহু মরা শিশু গাছ সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে পোকা লেগে অসংখ্য শিশু গাছ মরে কঙ্কালের রুপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসব মরা শিশু গাছ গুলি যে কোন বড় দূর্ঘটনার কারন হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কয়েকটি শত বছরের উদ্ধ বয়সের মরা শিশু গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডাল কেটে ফেলা হলেও বাকি রয়ে গেছে আরও বহু মরা গাছ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পথচারি ও রাস্তার পাশে মরা শিশু গাছ সংলগ্ন এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তারা দৃষ্টিপাত-কে জানান, শুধু পথচারিরা নয় মরা শিশু গাছের নিচে বসবাসকারী একাধিক পরিবারের সদস্যরা মাথার উপর মৃত্যুর আশঙ্কা নিয়ে দিন পার করছে। এখন তো শুধু মরা গাছের ডাল ভেঙে পড়ার কথা বলছি। একটানা ২/৩ দিন বৃষ্টি হলেই মাটি নরম হয়ে শিকড় পচে যাওয়া গাছ গুলি উপড়ে পড়ে ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা। তেমনটি হলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বড় কোন দূর্ঘটনায় কোন মায়ের বুক খালি বা কোন সন্তান এতিম হওয়ার পূর্বেই যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com