বিশেষ প্রতিনিধি \ আশাশুনি সদরের মরিচ্চাপ নদীতে সিএস ও এসএ ম্যাপ অনুযায়ী নদী খনন ও শহর/বাজার রক্ষার দাবীতে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলা কৃষকলীগ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক, কৃষকলীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, প্রভাষক রতন অধিকারী, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান, জাকারিয়া খোকন, আঃ মান্নান, আঃ গনি গাজী, আমজেদ হোসেন, মোবারক, শাহীনুর, আঃ বারী, মাসুদ সামস, সুবীর কুমার মন্ডল, তারিকুল, বিলাল, হাশেম ঢালী, নুরুজ্জামান সরদার প্রমুখ। সভায় বক্তাগণ বলেন, পূর্বে মরিচ্চাপ নদী ৫২২ দাগে ছিল, নদী ভাঙ্গনের ফলে ব্যক্তি রেকর্ডীয় ৫০৭ ও ৫০৮ সম্পূর্ণ ভাবে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং ৫০৯ দাগের অনেকটাই এখন নদীতে। এসব রেকর্ডীয় জমির উপর দাতব্য চিকিৎসালয়, দোকান-পাট, মাছের ডিপো, হোটেল, রাইচ মিল, বরফ মিলসহ অনেক স্থাপনা ছিল। বর্তমানে সেসব নদীতে বিলীন হওয়ার পর সদর বাজার/শহর সংকীর্ণ ও খুবই অপর্যাপ্ত হয়ে পড়েছে। সিএস ও এসএ ম্যাপের চিহ্নিত নদীর বাইরে ব্যক্তি রেকর্ডীয় জমির মালিক সিরাজুল দিং ৩.২৫ একর, ইউসুফ সরদার ৫৯ শতক, তহমিন দিং ২৪ শতক, আলহাজ্ব জাকারিয়া ০১ শতক, মিজানুর ১৪ শতক, তারিকুল দিং ০৬ শতক, হাফিজা করিম ১৭ শতক, ল²ীকান্ত অধিকারী ০৫ শতক, আমহেদ বিশ্বাস ০৬ শতক, আহম্মদ সরদার-নেছার সরদার দিং ১.১৭ একর, নওয়াব আলি দিং ০৫ শতক, আঃ মতিন সরদার দিং ৩.০০ একর, সুশীল গং সাড়ে ১১ শতক, আলীম সাড়ে ৯ শতক, আঃ বারী ২০ শতক, আবু হেনা দিং ১০ শতকসহ অনেক রেকর্ডীয় মালিকের জমি নদী গর্ভে গেছে। সিএস ও এসএ রেকর্ড অনুযায়ী নদী খনন করা হলে নদীর আসল রূপ বেরিয়ে আসবে, যাদের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তারা তাদের জমি ফেরৎ পাবে। একপড়ে নদী ভাঙ্গন হলেও অপর পাড়ে নদীর চর ভরাট হয়েছে। ফলে প্রকৃত নদী অর্থাৎ ৫২২ দাগসহ অন্য অনেক দাগের জমি এখন অন্য পাড়ে চরভরাটি হয়ে আছে। এসব চর ভরাটি জমি খনন করে ভাঙ্গনে বিলীন হওয়া রেকর্ডীয় জমি উদ্ধারের ব্যবস্থা করার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দাবী জোরালো হতে শুরু করেছে। যদি সিএস ও এসএ রেকর্ড অনুযায়ী নদী খনন না করা হয় তাহলে রেকর্ডীয় জমির মালিকরা জমি ফেরত পাবেনা, আবার আশাশুনি উপজেলা শহর/বাজার (যা খুবই সংকীর্ণ ও বাজার গড়ার মত কোন জমি নেই) পুনরায় ভাঙ্গন কবলিত হবে। বাজারের অনেক দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসবাসের ঘর ইত্যাদি নতুন করে খননকৃত (যদি খনন করা হয়) নদীর গহŸরে ঢুকতে শুরু করবে। যা আশাশুনি শহর/বাজারের জন্য অশণিসংকেৎ বৈ কিছুই হবে না। উলেখ্য, শ্রীউলা মৌজায় এসএ ১২৫ খং এর ৫০৯ দাগের এসএ মালিক সিরাজুল ইসলাম আদালতে মামলা নং ১৬/২০১৪ রুজু করলে বিজ্ঞ আদালত বাদী পক্ষে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। যার সাইনবোর্ড নদীর চরে স্থাপন করা হয়েছে। সভায় অবিলম্বে সিএস ও এসএ ম্যাপ দেখে নদীর জমিতে খনন কাজ পরিচালনা করার দাবী জানান হয়। দাবী মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।