আশাশুনি প্রতিনিধি/শ্রীউলা(আশাশুনি) প্রতিনিধি \ আশাশুনি উপজেলার পুইজালা ভুবোন মোহন রাধা বলভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্পত্তি জবর দখলে বাধা দেওয়ায় স্কুলের শিক্ষকদের দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাড়িয়ে স্কুলের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ৯৯৯ ও পরবর্তীতে আশাশুনি থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে থানা পুলিশ আক্রমানকারীদের বাড়ি থেকে আক্রমনে ব্যবহৃত দু’টি দা ও ১টি হাতুড়ি উদ্ধার করে। এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে ৩১আগষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ ও প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিবাদী একই গ্রামের বেলায়েত মোড়লের ছেলে জুলফিকার আলী ও মৃত দেছের আলীর স্ত্রী লায়লী বেগম স্কুলের পাশেই বসবাস করে আসছে। প্রতিদিন তাদের ছাগল ও রাজ হাঁস স্কুলের ঘেরাবেড়া ভেঙ্গে গাছগাছালি খেয়ে ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে। শিক্ষকরা নিষেধ করলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও সম্মান হানিকর ভাষা ব্যবহার করে থাকে। ৩ মাস পূর্বে ছাগল তাড়ানো কারনে আধলা ইট নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীদের মারতে ৩য় তলায় শ্রেণি কক্ষে উঠেছিল সে। সে সময় অনেক চেষ্টা করে শিক্ষকরা তাকে নিবৃত করতে সক্ষম হয়। গত ৭/৮ দিন পূর্বে প্রধান শিক্ষকের অজ্ঞাতে ও স্কুলে ছুৃটি থাকার সুযোগে স্কুলের সীমানার কিছু জমি দখলে নিয়ে ঘেরাবেড়া দেয় সে(বিবাদী)। প্রধান শিক্ষক তাদেরকে ঘেরা তুলে নিতে বললে মাপামাপি করে ঘেরা তুলবে বলে জানায়। কিন্তু পরবর্তীতে নানা তালবাহনা করতে থাকলে সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে প্রধান শিক্ষক ৩০ আগষ্ট ঘেরা তুলে ফেলেন। এসময় বিবাদীরা দা, হাতুল ও লাঠিশোটা নিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকদের খুন জখম করার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে। এবং ধর্মীয় শিক্ষক আবু মুছার হাত ধরে দা দিয়ে হাত কেটে নিতে হুমকী দেয়। শিক্ষকদের যেখানে পাবে খুন জখম করবে বলে হুমকী দিতে থাকলে প্রধান শিক্ষক ৯৯৯ নম্বরে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে আক্রমনকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ বিবাদীদের বাড়ি হতে আক্রমনে ব্যবহৃত ২টি দা ও লোহার হাতুড়ি উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান, প্রথমে ফোনে এবং পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এঘটনার পর থেকে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানাগেছে।