বিশেষ প্রতিনিধি \ আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়িয়া আমজাদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়নকে বাধা গ্রস্থ করতে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নানা মিথ্যাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি প্রধান শিক্ষকের বাসভবনে গিয়ে শনিবার বেলা ৯.৪৫ দিকে ঘর থেকে বের হতে না দিয়ে গৃহবন্ধি করে রাখা হয়। এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক জানান, বিধি মোতাবেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৩টি পদে ২৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন। বাছাইতে ২ জন বাদ পড়লে ২২ জন প্রার্থী রয়েছে। আমার মেয়ে প্রার্থী থাকায় নিয়োগ বোর্ডে আমাকে রাখা হয়নি। ডিজি প্রতিনিধি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বোর্ড সদস্যরা নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বোর্ড নিরপেক্ষ ভাবে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন, কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ নেই। সভাপতি মঙ্গল চন্দ্র সরকার জানান, তিনি ৩ বার সভাপতির দায়িত্বে আছেন, ২ বার সদস্য ছিলেন এবং ৩ য় বারের মত ইউপি সদস্য হিবাবে দায়িত্বে আছেন। তার দায়িত্ব পালনকালে স্কুলের অর্থে স্কুল বিল্ডিং এর ২য় তলার কাজ, রং এর কাজ, দরজা ও গ্রীলের কাজ, ব্লাকবোর্ড ওয়ালের সংস্কার কাজ, বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষে বিদ্যুতায়ন ও ফ্যান লাগানোর কাজ সম্পন্ন বা চলমান রয়েছে। স্কুলের জিআর ফান্ডে ৩০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা জমা করা হয়েছে। লেখাপড়ার মান উন্নত ও রেজাল্ট ভাল পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু পরাজিতরা ও তাদের সহযোগিরা স্কুলের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে, কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমাদেরকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র ও নিয়োগ কার্যক্রমকে বাধা গ্রস্থ করতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ, মানববন্ধনসহ আপপ্রচার চালানো হচ্ছে। উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হলেও খোকন, পরিমল, তেজেন্দ্র, নির্মল বাইনসহ ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হয় এবং নিয়োগ বন্দের ব্যাপারে জানতে চেয়ে লিখিত ভাবে তাদেকে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। প্রধান শিক্ষক তাদেরকে বারবার অফিসে গিয়ে লিখিত নোটিশ করা হবে এবং প্রার্থীসহ অনেককে মোবাইলে ও নৈশ প্রহরীর মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে খবর পৌছানো হয়েছে জানালেও তারা মানতে রাজী হয়নি বলে তিনি জানান।