বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন

আশাশুনির চাপড়া নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে পাউবো অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আশাশুনি প্রতিনিধি \ আশাশুনি উপজেলার চাপড়ায় মরিচ্চাপ নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন প্রতিরোধে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে পাউবো অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ফুসে উঠা ভুক্তভোগি এলাকাবাবাসী। গতকাল বিকালে ভাঙ্গন কবলিত বেড়ী বাঁধের উপর ভুক্তভোগি নারী—পুরুষ ও শিশুদের অংশ গ্রহনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়। নদী গর্ভে বিলীন হওয়া ও ভাঙ্গনের মুখে অপেক্ষমান পরিবারের সদস্যদের হৃদয় বিদারক আর্তনাদ ও আহাজারীর মধ্যে ক্ষুব্ধ বক্তাগণ বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে বেড়ী বাঁধ সুরক্ষা, ঘরবাড়ি, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মসজিদ রক্ষা ও নিরাপদ দুরত্বে সিএস—এসএ ম্যাপ অনুযায়ী খাস জমির উপর দিয়ে নদী খননের দাবী জানিয়ে এসেছি। মরিচ্চাপ নদী যেভাবে খনন করে আসা হয়েছে, সেই লেবেল বজায় রেখে বাকী অংশ টুকুর খনন কাজ সম্পন্ন করতে আবেদন জানিয়েছি। আমাদের দাবীর প্রেক্ষিতে পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, এসডিও, এসও, জেলা প্রশাসক, ইউএনও ঘটনাস্থলে এসেছেন বিষয়টি দেখবেন বলেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি। সবশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারী তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ শহিদুল আলম (এসি) পরিদর্শনে আসেন। এলাকাবাসী পাউবো’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এলাকা পরিদর্শন, ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সাথে কথা বলেন। অবস্থা দেখে সবকিছু উপলব্ধি করে তিনি মরিচ্চাপ নদী খনন কাজ যেখানে এসে বন্ধ রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে স্টেট সোজা করে খনন করার নির্দেশ প্রদান করেন। সাথে সাথে ভাঙ্গন এলাকাকে প্রটেকশন দিতে জিও ব্যাগে বালি ভরে ফেলার নির্দেশনা প্রদান করেন। ৪০০ মিটার প্রটেকশান জিও ব্যাগ ফেলা হবে এবং কবর খোলার পাশে পাইলিং করা হবে বলে তিনি উপস্থিত কর্মকর্তা ও জনসাধারণকে আশ্বস্থ করেন। ঐদিনই ২০০ জিও ব্যাগ বালি ভরে ফেলানোর উদ্যোগের কথা জানান হয়। কাজে হাত দেওয়া হলেও পরে সকল শ্রমিক পালিয়ে চলে গেছে জানিয়ে বক্তগণ বলেন, নদীতে বাঁধ দেয়া, ভরাট হওয়া মাটি ভাঙ্গন প্রান্তে এনে ফেলে রক্ষা বাঁধ দেওয়া, জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ অবিলম্বে শুরু করতে হবে। খাস জমি বাদ রেখে রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে খনন করা হচ্ছে, তাও আমরা মেনে নিয়েছি, ভাঙ্গন স্থানে রক্ষা বাঁধ নির্মানের কথা বলায়। সম্প্রতি আরও ৮ টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। ১৫টি বাড়ী হুমকীতে রয়েছে। মাধ্যমিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ, ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। বক্তাগণ একবাক্যে ঘোষণা করেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও করবো। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আয়ুব আলী, আজহারুল ইসলাম, শিক্ষক মফিজুল ইসলাম, মাসুদ রানা, আঃ খালেক সরদার প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com