এফএনএস: কুমিলার নাঙ্গলকোটে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে নাঙ্গলকোট পৌর এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়ে থেমে থেমে চলে প্রায় বেলা ১২টা পর্যন্ত। সংঘর্ষ প্রতিরোধে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় কুমিলা এ আর মডেল হাইস্কুলের অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেবদাস দেব বলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জন স্কুল শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। তারা নাঙ্গলকোট এ আর মডেল হাইস্কুলের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ২২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। জানা গেছে, জ¦ালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সব ধরনের দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম হত্যার প্রতিবাদের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি। সেখানে অংশ নিতে গতকাল বুধবার সকাল ৯ টার আগেই দলে দলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। তারা লোটাস চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে মিছিল করেন। লোটাস চত্বরে ভাঙচুর করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির আহমেদ ভ‚ঁইয়া বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। পুলিশ আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে লাঠিচার্জ করেছে। আর তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আমাদের ১৫ জন কর্মী আহত হন। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহŸায়ক অধ্যক্ষ সাদেক হোসেন ভ‚ঁইয়া বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিই। বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। পুলিশ তাদের বাধা দিয়েছিল। আমরা কোনো বাধা দেইনি বা হামলা করিনি। নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে এ মুহূর্তে সঠিক সংখ্যা বলতে পারছি না। আহত সদস্যদের সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এদিকে কুমিলা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশর ডাক দেয়। এজন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।